National Anthem Case: জাতীয় সংগীত অবমাননা মামলা, মমতাকে কোনও ছাড় দিতে নারাজ হাইকোর্ট!
মুম্বইয়ের কাফ প্যারেডে যশবন্তরাও চহ্বন অডিটোরিয়ামে জনসাধারণের জন্য আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় আসনে বসা অবস্থাতেই জাতীয় সংগীত গাইতে শুরু করেছিলেন। পরে উঠে দাঁড়ান। এমনকি জাতীয় সংগীত গাওয়া পুরো শেষও করেননি। মাত্র ২ অনুচ্ছেদ গেয়েই গাওয়া বন্ধ করে দেন বলে অভিযোগ।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: খারিজ হয়ে গেল তৃণমূল নেত্রীর করা আবেদন। অস্বস্তি বাড়ল মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের। জাতীয় সংগীত অবমাননা মামলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কোনও ছাড় দিতে নারাজ হাইকোর্ট। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে কোনওরকম কোনও ছাড় দিতে অস্বীকার করল বোম্বে হাইকোর্ট। এদিন বিচারপতি অমিত বোরকারের সিঙ্গল বেঞ্চ মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের দায়ের করা আবেদন খারিজ করে দেয়। নগর দায়রা আদালতের জানুয়ারির মাসের রায়কে চ্যালেঞ্জ করেই বোম্বে হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০২২ সালে একটি অনুষ্ঠানে তিনি জাতীয় সংগীতকে অবমাননা করেছিলেন।
প্রসঙ্গত, মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় তাঁর আবেদনে বলেছিলে যে দায়রা আদালতের সমনের বিষয়টি বাতিল করার পরিবর্তে উচিত সম্পূর্ণ অভিযোগটাই বাতিল করে দেওয়া। তাকে কোনও মান্যতা না দেওয়া। যে প্রসঙ্গে বিচারপতি বোরকারের পর্যবেক্ষণ, দায়রা আদালতের আদেশে বেআইনি কিছু বিষয় ছিল। আর তাই হাইকোর্টের হস্তক্ষেপের কোনও প্রয়োজন নেই।
২০২২ সালের মার্চ মাসে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের উদ্দেশে সমন জারি করে একটি ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট। সমাজকর্মী বিবেকানন্দ গুপ্তের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে এই সমন জারি করা হয়। বিবেকানন্দ গুপ্ত অভিযোগ করেন, মুম্বইয়ের কাফ প্যারেডে যশবন্তরাও চহ্বন অডিটোরিয়ামে জনসাধারণের জন্য আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় আসনে বসা অবস্থাতেই জাতীয় সংগীত গাইতে শুরু করেছিলেন। পরে উঠে দাঁড়ান। এমনকি জাতীয় সংগীত গাওয়া পুরো শেষও করেননি। মাত্র ২ অনুচ্ছেদ গেয়েই গাওয়া বন্ধ করে দেন। অনুষ্ঠানস্থল ছেড়ে চলে যান।
বিবেকানন্দ গুপ্ত তাঁর অভিযোগে দাবি করেন যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এহেন আচরণে জাতীয় সংগীতের অবমাননা হয়েছে। এটি জাতীয় সংগীতের অসম্মান হিসাবে পরিগণিত হচ্ছে। তাই এটি ১৯৭১ সালের জাতীয় সম্মানের অবমাননা প্রতিরোধ আইনের অধীনে একটি অপরাধ। এই ঘটনায় তিনি কাফ প্যারেড থানায় অভিযোগও দায়ের করেছিলেন। কিন্তু পুলিস কোনও ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হওয়ায় মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে যান তিনি।
এই সমনের পরিপ্রেক্ষিতে স্পেশাল কোর্টে চ্যালেঞ্জ করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। ২০২৩-এর জানুয়ারিতে স্পেশাল কোর্টের বিচারপতি আর এন রোকাড়ে কিছু ভুলত্রুটির নিরিখে বিচার করে ম্যাজিস্ট্রেটের দায়ের করা সমনটি বাতিল করে দেন। পাশাপাশি, ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দেন নতুন করে অভিযোগটি বিবেচনা করার। এরপরই বোম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চ্যালেঞ্জ করেন নিম্ন আদালতের রায়। অভিযোগটি নতুন করে বিবেচনার বদলে অভিযোগটি খারিজের আবেদন জানান।
আরও পড়ুন, Mamata in Dharna: দিল্লিতে নয়; কেন কলকাতাতেই ধরনা দিচ্ছেন মমতা, ফাঁস করলেন দিলীপ ঘোষ