ব্যুরো: মঙ্গলে জঙ্গল করার পরিকল্পনা নিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। গবেষণা চলছে। মঙ্গলের মাটিতে শাক-সবজি ফলানোর নেট প্র্যাকটিস শুরু হয়ে গেছে পৃথিবীর মাটিতেই। সাফল্য এসেছে প্রথম ধাপে। মঙ্গলের মত আবহাওয়া, মাটি তৈরি করে ল্যাবরেটরিতে চাষ করেছেন বিজ্ঞানীরা। ফল হয়েছে, ফুল ফুটেছে। 


বিজ্ঞানের কোনও কল্পকাহিনী নয়। একেবারে ফলিত।  মঙ্গলে চাষাবাদ। ফলেছে টম্যাটো মটরশুটি,বিনস্। আদতে চাষ হয়েছে এই পৃথিবীতেই। তবে  কৃত্রিম ভাবে  তৈরি  করা হয়েছে মঙ্গলের  আবহাওয়া, মঙ্গলের মাটির মত খনিজগুন সম্পন্ন মাটি।  আর সেই পরিবেশে, মাটিতে রীতিমত ফুল ফুটেছে,ফল হয়েছে। কিন্তু মঙ্গলের মাটিতে প্রচুর পরিমানে ক্যাডমিয়াম,তামা ও সিসার মতো ভারী ধাতু রয়েছে। এছাড়া রয়েছে  আর্সেনিক  । ফসলে এই রাসায়নিক গেলে তা খাওয়া মানে বিষ খাওয়ার  সমতূল্য। বিজ্ঞানীরা কৃত্রিম পরিবেশে সবজি ফলিয়ে দেখছেন সেই সবজি খাওয়া সম্ভব  কী না। আদতে  দুহাজার তিরিশ সাল নাগাদ মঙ্গলে মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনা করছে নাসা। সেই পরিকল্পনার সঙ্গে রয়েছে মঙ্গলে ফসল ফলানো যায় কী না তার পরীক্ষা। পেরুতে  একটি আন্তর্জাতিক আলু উত্‍পাদনকারী সংস্থার সঙ্গেও একযোগে কাজ করতে চলছে নাসা। এমন ধরণের আলু বীজ উত্‍পাদন করার চেষ্টা চলছে যা মঙ্গলে ফলানো সম্ভব। মঙ্গলের বায়ুমন্ডলের   সিংহভাগই  কার্বন ডাই অক্সাইড। আলু বাতাসের স্বাভাবিক মাত্রায়  দু গুনের বেশি কার্বনডাই অক্সাইড সহ্য করতে পারে।  প্রায় একশ প্রজাতির আলু বীজ নিয়ে চলছে পরীক্ষানিরীক্ষা। কিছুদিন আগেই একটি  সিনেমা মুক্তি পেয়েছে, নাম "দ্য  মার্সিয়ান ' ওই  সিনেমাতে দেখানো হয়েছে মঙ্গলে চাষের বিষয়টি। মঙ্গলে চাষাবাদ করা সম্ভব  কীভাবে সেই  চর্চার বিষয়টি দেখানো হয়েছে  "দ্য  মার্সিয়ান 'এ।