নিজস্ব প্রতিবেদন:  মঙ্গলে নাকি কলোনি বানানো হবে। তৈরি হবে চাষের জমি। সেখানে দিব্যি সুখেশান্তিতে থাকবেন পৃথিবীর মানুষ। মঙ্গলযাত্রার মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠছিল মার্শ ওয়ান ভেঞ্চারের বিরুদ্ধে। দেউলিয়া হয়ে গেল সেই কোম্পানি। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মঙ্গলে যেতে হল না। পৃথিবীতেই মঙ্গলের কোপে পড়লেন বাস ল্যান্সড্রপ। লাল গ্রহে মানুষ পাঠিয়ে নতুন কোম্পানিও খুলেছিলেন। দেউলিয়া হয়ে গেল সেই কোম্পানি। চার বছর আগে লাফালাফিটা শুরু হয়। আহ্লাদে আটখানা হয়ে নাচতে থাকেন কত মানুষ। মঙ্গলে নাকি কলোনি তৈরি করা হবে। সেখানে নাকি জমি কিনতে পারবেন আপনিও। সেই জমিতে মনের সুখে চাষ করবেন। দিব্যি সোফায় গা এলিয়ে আয়েশ করবেন।


মঙ্গল গ্রহে সোফায় বসে পা দোলাবেন? সেগুড়ে বালি।  মঙ্গলে বাড়ি বানিয়ে থাকার সাধ এ জন্মে আর মিটছে না। ভুয়ো মিশন মার্শ ওয়ান মুখ থুবড়ে পড়ল। মার্শ ওয়ান ভেঞ্চার অবশ্য বলেছিল, যাঁরা মঙ্গলে যাবেন, তাঁরা পৃথিবীতে আর ফিরে আসতে পারবেন না। সে যাই হোক। গোটা দুনিয়া আনন্দে নেচেছিল। বিশেষ করে মঙ্গলে যাওয়ার তালিকায় নাম ছিল যাঁদের।


গত মাসের ১৫ তারিখ নোটিস পোস্ট করে কোম্পানির অস্তিত্ব খারিজ করে দিয়েছে সুইত্জারল্যান্ড প্রশাসন। ল্যান্সড্রপও তাঁর কোম্পানি দেউলিয়া হওয়ার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। তবে তিনি নাকি এখনও সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজে বেড়াচ্ছেন।


দীর্ঘদিন ধরেই ল্যান্সড্রপের কোম্পানি মার্শ ওয়ান ভেঞ্চারের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতি, মঙ্গলে পাঠানোর নাম করে মোটা টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে পুলিসের দ্বারস্থ হন বহু সমাজকর্মী। সেই মতো তদন্ত শুরু করে প্রশাসন। তারপরেই ওই কোম্পানিকে দেউলিয়া ঘোষণা করা হয়। মার্শ ওয়ান ভেঞ্চার দাবি করেছিল, তারা পৃথিবী থেকে ১০০ জনকে শর্টলিস্ট করেছে। যাঁদের তারা মঙ্গলে পাঠাবে বসতি স্থাপনের জন্য। ২০২৩ সালে প্রথম ব্যাচটি পাঠানোর কথা দিয়েছিল তারা। সেখানে তারা গ্রহের আবহাওয়া অনুসারে বাড়ি, কৃষিক্ষেত্র, গাড়ির ব্যবস্থা করে দেবে। এ জন্য মোটা টাকা দিয়ে ফর্ম পূরণ করতে হয়েছিল উত্সুক পৃথিবীবাসীকে।