ব্যুরো: প্রবল চাপের মুখে পড়ে পাঠানকোট কাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড জইশ প্রধান মাসুদ আজহারকে আটক করল পাকিস্তান। আটক করা হয়েছে মাসুদের  ভাই আবদুর রউফ, ঘনিষ্ঠ আত্মীয় আসফাক আহমেদকেও। জইশের ঘাটিতে হানা দিয়ে আরও বেশকয়েকজন জঙ্গি নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নয়াদিল্লির চাপ তো ছিলই। পাঠানকোট কাণ্ডের পর থেকে সন্ত্রাস ইস্যুতে ক্রমশ চাপ বাড়াচ্ছিল ওয়াশিংটন। চাপ বাড়ছিল দেশের অভ্যন্তরেও। ঘরে -বাইরে চাপের মুখে পড়ে বুধবার পাঠানকোট কাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড জইশ-এ-মহম্মদ প্রধান মাসুদ আজহারকে আটক করল ইসলামাবাদ। শুধু মাসুদ আজহার নয়, আটক করা হয়েছে মাসুদের ভাই আবদুর রউফ, মাসুদের ঘনিষ্ঠ আত্মীয় আসফাক আহমেদকে।


 মাসুদের  ঘাঁটি ভাওয়ালপুর সহ তল্লাসি চালানো হয় পাকিস্তানের ঝিলম, গুজরানওয়ালাতেও সিল করে দেওয়া হয় জইশের একাধিক দফতর। শুধু ধরপাকড় নয়,  প্রশাসনের শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে এদিন বৈঠক করেন পাক  প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। বৈঠকে  ছিলেন পাক অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী,পঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী, বিদেশবিষয়ক পরামর্শদাতা,আইএসআই-এর ডিজি, ইনটেলিজেন্স ব্যুরোর ডিজি, সেনা, পুলিস।  


পাঠানকোট হামলার পরই  ভারতের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, ঘটনার পিছনে রয়েছে জৈশ-এ-মহম্মদ জঙ্গি গোষ্ঠী। আসন্ন বিদেশসচিবস্তরের বৈঠকের আগে চক্রীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে, পাক সরকার কতটা আন্তরিক সেদিকে নজর রাখার কথা জানিয়ে দেয় নয়াদিল্লি। নয়াদিল্লির সুরে কথা বলে ওয়াশিংটনও। এমনকী বুধবারও নওয়াজ শরিফ সরকারের ওপর চাপ বাড়িয়েছে হোয়াইট হাউস। এমনকী ২৬/১১  মুম্বই হামলার প্রসঙ্গ টেনে এনে পাকিস্তানকে কড়াভাবে আক্রমণ করেছে আমেরিকা।