জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মোটামুটি ১২ কোটি বছর আগের ঘটনা! মানুষের অঙ্কের হিসেবে কুলোলেও, ভাবনার হিসেবে কুলোনো যায় না। ততদিন আগে তৈরি হয়ে গিয়েছে এক মস্ত মালভূমি! গুজরাটের থেকেও আকারে বড়! এবং সেটা মহাসমুদ্রের তলায়। এমনই এক ভূখণ্ডের কথা প্রকাশিত হয়েছে এক গবেষণাপত্রে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: Winter Storm in US: প্রবল তুষারঝড়ে বিপর্যস্ত দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চল, বিদ্যুৎহীন লক্ষ লক্ষ ঘরবাড়ি...


'আর্থ অ্যান্ড প্ল্যানেটারি সায়েন্স লেটার্স' জার্নালে সম্প্রতি এ বিষয়ে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। তাতে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন ওই ভূখণ্ডের কথা। মালভূমি আকারের এই ভূখণ্ডটি প্রশান্ত মহাসাগরের তলদেশে। সলোমন দ্বীপপুঞ্জের পূর্বে অবস্থিত। মালভূমিটি ডাইনোসর যুগ বা ক্রিটেসিয়াস যুগের। অর্থাৎ, আজ থেকে সাড়ে চোদ্দ কোটি থেকে সাড়ে ৬ কোটি বছর আগের!


প্রশান্ত মহাসাগরের তলদেশে গুজরাটের থেকেও বড় এক এক মালভূমি কী করে তৈরি হল?


বিজ্ঞানীরা বলছেন, ওখানে আগ্নেয়গিরি ছিল। সেই আগ্নেয়গিরির চারটি আলাদা-আলাদা উদগীরণ বা স্পন্দনের মাধ্যমে তৈরি হয়েছিল ভূখণ্ডটি। তবে তৈরি হয়েই থেমে যায়নি। সেই থেকে এটি তৈরি হয়েই চলেছে, আকারে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এখনও বেড়ে চলেছে!


২০১৩ সালেই কনরাড এবং তাঁর দল মালভূমিটি নিয়ে গবেষণা শুরু করেছিলেন। অত্যাধুনিক সব প্রযুক্তি ব্যবহার করে সমুদ্রের নীচের পর্বত-মালভূমি থেকে নমুনাপাথর সংগ্রহ করেছিলেন। সেই সব পাথরের বয়স এবং রাসায়নিক উপাদান বিশ্লেষণও করেছিলেন। সেসব করে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছিলেন, মালভূমিটির গঠন প্রায় ১২ কোটি বছর আগে শুরু হয়েছিল। এক বিশাল লাভা স্রোত থেকে মালভূমির গঠনের সূচনা ঘটেছিল। এরপর, আজ থেকে প্রায় সাড়ে চার কোটি বছর আগে আগ্নেয়গিরির লাভা উদগীরণের ফলে মালভূমিটি আকারে বৃদ্ধি পায়।


আরও পড়ুন: UFO Over US Military Base: মার্কিন সেনা ঘাঁটির আকাশে ইউএফও! কোথা থেকে এল?


গবেষণা দলটির প্রধান নেভাডা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-বিজ্ঞানী কেভিন কনরাড। তাঁর মতে, মালভূমিটির গঠনের সময়কাল নিয়ে গবেষণা জরুরি। আসলে সমুদ্রের নীচে অবস্থিত বস্তুখণ্ড বা ভূখণ্ড বা আগ্নেয়গিরির বৈশিষ্ট্য বোঝা কঠিন হয়।


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)