Antarctica: বরফচাদর ভেঙে ঠান্ডা জলে ডুবে লহমায় ১০ হাজার পেঙ্গুইনের মৃত্যু!
Antarctica: আন্টার্কটিকা সমুদ্রের বরফ গলে যাচ্ছে বলে গত বছর থেকেই পেঙ্গুইন কলোনিগুলিতে পেঙ্গুইনের জন্ম নানা ভাবে ব্যাহত হয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা, অচিরেই পৃথিবী থেকে পেঙ্গুইনদের বিদায় নেওয়ার পর্ব শুরু হবে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: জলবায়ু পরিবর্তন লহমায় মেরে ফেলল ১০ হাজার পেঙ্গুইনবাচ্চাকে! সম্প্রতি আন্টার্কটিকায় হাজার হাজার পেঙ্গুইন শাবকের মৃত্যু ঘটেছে। এই পেঙ্গুইনদের পালক সাঁতারের উপযোগী হয়ে ওঠার আগেই তাদের পায়ের নীচে থাকা সমুদ্রবরফ গলে যায় এবং তা ভেঙে পড়ে। বরফজলে ডুবে বা ঠান্ডায় জমে পেঙ্গুইন বাচ্চাগুলির মৃত্যু ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: Hurricane Idalia: ধেয়ে আসছে দুর্দান্ত হারিকেন ইডালিয়া, বইছে ভয়ংকর গতির হাওয়া...
উচ্চতা এবং ওজনের দিক থেকে পেঙ্গুইনের সবচেয়ে বড় প্রজাতি হল 'এমপেরর পেঙ্গুইন'। এই 'এমপেরর পেঙ্গুইনে'র ১০ হাজার শাবকই এই দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ২০২২ সালের শেষ দিকে, আন্টার্কটিকার দক্ষিণে বেলিংসহাউজেন সাগরের কাছে। তবে তখনই জানা যায়নি। ঘটনাটি উপগ্রহচিত্রে ধরা পড়ে। এবং জানাজানি হয়।
একটি স্টাডি থেকে এই খবর বেরিয়ে এসেছে। বেলিংসহাউজেন সাগরে পাঁচটি পেঙ্গুইন কলোনি নিয়ে পর্যবেক্ষণ চালান গবেষকেরা। গবেষণাকর্মটির সঙ্গে যুক্ত আছেন পিটার টি ফ্রেটওয়েল এবং তাঁর সহকর্মীরা। এটি প্রকাশিত হয়েছে 'কমিউনিকেশনস আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট' জার্নালে।
বিজ্ঞানীদের ওই গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে, পেঙ্গুইন পাখিরা এ অঞ্চলের জমা বরফে সাধারণত হাজির হয় মার্চ মাসের দিকে। এখানে তারা সঙ্গী খুঁজে নেয়। পরে ডিম পাড়ে এবং সেই ডিম ফুটিয়ে বাচ্চার জন্ম দেয়। কয়েকমাস ধরে তাদের বড়ও করে। এই পুরো বিষয়টি হয় এই ঠান্ডা বরফমোড়া পরিবেশে। বাচ্চা পেঙ্গুইনগুলির সমুদ্রে নামার সময় সাধারণত ডিসেম্বর-জানুয়ারি।
কিন্তু নির্দিষ্ট এই ঘটনায় গবেষকরা লক্ষ্য করেছেন, এমপেরর পেঙ্গুইনের হাজার হাজার বাচ্চার পালক সাঁতারের জন্য প্রস্তুত হওয়ার আগেই তারা যে-বরফচাদরে আস্তানা গেড়েছে তাতে ফাটল ধরে নভেম্বরেই। এদিকে তখনও সমুদ্রে স্বাধীনভাবে নামেতে তাদের ২-৩ মাস দেরি। এই অবস্থায় তাদের পায়ের নীচের বরফস্তর ভেঙে ঠান্ডা বরফজমা জলে গিয়ে পড়ছে তারা এবং সাঁতার না কাটতে পেরে ডুবে মরছে!
আরও পড়ুন: অবিশ্বাস্য! ব্যস্ত শহরের রাস্তায় হেঁটে বেড়াচ্ছে সিংহ...
পৃথিবীর উষ্ণতা ক্রমেই বেড়ে চলেছে বলেই এই ঘটনা ঘটেছে। আর এরকম চলতে থাকলে এই শতকের শেষ নাগাদ পৃথিবী থেকে এমপেরর পেঙ্গুইনের ৯০ শতাংশেরও বেশি আবাসস্থল হারিয়ে যাবে! ফ্রেটওয়েল এবং তাঁর সহকর্মীরা বলেছেন, এমপেরর পেঙ্গুইনদের উপর জলবায়ু পরিবর্তনের বেশ ভালো রকম প্রভাব পড়ছে।