নিজস্ব প্রতিবেদন: জেলিফিশ তো অনেকেই দেখেছেন। কিন্তু জল ছেড়ে সমুদ্রের পারে ভেসে উঠছে লাখ লাখ জেলিফিশ- এমন কখনও শুনেছেন? শান্ত সমুদ্রের পারে সে এক অদ্ভুত দৃশ্য। সমুদ্রের বালির উপর লাখ লাখ জেলিফিশ। প্রতিটা ঢেউয়ের সঙ্গেই ভেসে আসছে আরও জেলিফিশ। বিচে ঘুরতে গিয়ে অসতর্কতার বশে জেলিফিশের আকর্ষে আহতও হচ্ছেন অনেকে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

অদ্ভুত এই ঘটনা ইজরায়েলের একাধিক সমুদ্র পার জুড়ে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই এমন দৃশ্য দেখছেন স্থানীয় ও পর্যটকরা। সমুদ্রে স্নানে গিয়ে জেলিফিশের আকর্ষে আহতও হয়েছেন অনেকে। সমুদ্রের পারে যাওয়া পর্যটকদের সতর্ক করছে প্রশাসন। 


আরও পড়ুন: লোহার পাতের বদলে বাঁশের চটা! বাংলাদেশের ট্রেন দুর্ঘটনার তদন্তে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য


জানা গিয়েছে, প্রতি বছরই এই সময়ে লাখ লাখ জেলিফিশ সমুদ্রের তাদের অবস্থান পাল্টায়। সে সময়ে কিছু সংখ্যক জেলিফিশের সমুদ্রের পারে ভেসে ওঠা নতুন ঘটনা নয়। কিন্তু এ বছরে পারে ভেসে ওঠা জেলিফিশের সংখ্যা যেন অনেকটাই বেশি। শেষ কবে একসঙ্গে এত জেলিফিশ ভেসে উঠেছিল, মনে করতে পারছেন না স্থানীয়রা। জীব বিজ্ঞানীদের মতে, সারা বিশ্বের সমুদ্রেই অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে জেলিফিশের সংখ্যা। এর কারণ কী তা জানতে গবেষণায় জীব বিজ্ঞানীরা।


অন্যদিকে, সমুদ্রের পারে সতর্কতা জারি হওয়ায় কমে গেছে পর্যটকদের সংখ্যা। তাই পর্যটন ব্যবসায় ক্ষতির আশঙ্কা করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। পরিস্থিতি এমনই যে সমুদ্রের পারের বিদ্যুত্কেন্দ্রের পাইপের ফিল্টার আটকে গেছে হাজার হাজার জেলিফিশের দেহে।


আপাতদৃষ্টিতে নরম শরীরের জেলিফিশকে খুব নিরীহ মনে হতে পারে। তবে, জেলিফিশের তলার অংশে বেশ কিছু আকর্ষ থাকে। নিজেদের আত্মরক্ষার্থে এই আকর্ষ ব্যবহার করে জেলিফিশ। সরু সুতোর মতো আকর্ষে থাকে মারাত্বক বিষ। কোনও ব্যক্তি সমুদ্রে পারে বা জলে নেমে অসাবধানতাবশত হাত দিয়ে ফেললেই এই আকর্ষ গেঁথে দেয় জেলিফিশ। জেলিফিশের আকর্ষের বিষ থেকে মারাত্বক যন্ত্রণা হয়। এমন কী হতে পারে মৃত্যুও।