নিজস্ব প্রতিবেদন: মোদীর ভাষায় কথা বলছে আমেরিকা! চলতি মাসেই জি-২০ বৈঠক। তার আগেই ভারত সফরে আসছেন মার্কিন বিদেশসচিব মাইক পম্পেও। মার্কিন-ভারত বিজনেস কাউন্সিলের এক সম্মেলনে মাইক বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি তাঁর নির্বাচনী প্রচারে বলেছিলেন অসম্ভবকে সম্ভব করেন মোদী। তিনি হিন্দি উচ্চারণ করেই বলেন, “মোদী হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়। দুই দেশের সম্পর্কের ইতিবাচক সম্ভবনা তৈরি হওয়ার দিকে তাকিয়ে আমরা।”


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


জানা যাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাক্ষাত্ করবেন মাইক পম্পেও। পাশাপাশি, তাঁর কাউন্টারপার্ট বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের ওয়ান টু ওয়ান বৈঠক হবে তাঁর। পম্পেও বলেন, দুই দেশের সম্পর্ক মজবুত করতে দারুণ সুযোগ তৈরি হয়েছে। প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকা নীতি নির্ধারণে দুই দেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে জানান পম্পেও।


আরও পড়ুন- নীরব মোদীর ফের জামিনের আবেদন নাকচ করল ব্রিটেন আদালত


উল্লেখ্য, ২৮ থেকে ২৯ জুন জাপানে বসছে জি-২০ সম্মেলন। চিন, ফ্রান্স, রাশিয়া, আমেরিকা, ব্রিটেন ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন-সহ বিশ্ব জিডিপির ৯০ শতাংশ অন্তর্ভুক্ত ২০টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান এক মঞ্চে উপস্থিত হচ্ছেন। মনে করা হচ্ছে, সেখানে  ডোনাল্ড ট্রাম্প ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠক হতে পারে।


নরেন্দ্র মোদীর প্রধানমন্ত্রীত্বের দ্বিতীয় ইনিংসে আমেরিকার সঙ্গে ‘বন্ধুত্ব’ ধরে রাখাটা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সম্প্রতি আমেরিকার বিশেষ সুবিধাভোগী দেশের তালিকা থেকে বাদ পড়েছে ভারত। মার্কিন পণ্যের উপর শূন্য শুল্ক বসানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভারত সে পথে না হাঁটায় ‘শাস্তি’ হিসাবেই ‘জেনারালাইজড সিস্টেম অব প্রেফারেন্স’ (জিএসপি) তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। পাশাপাশি, ইরানে তেল কেনা নিয়েও ভারতকে ট্রাম্পের রোষের মুখে পড়তে হয়েছে। সব নিয়ে আমেরিকার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কে কিছুটা ঘাটতি রয়েছে, যা এ বারে জি২০ সম্মেলনে দু’পক্ষই ঝালিয়ে নেবে বলে মনে করা হচ্ছে।