Muhammad Yunus: গদির লোভ ছাড়তে পারছেন না ইউনূস! আদৌ গণতন্ত্র ফিরবে পড়শি দেশে?
Bangladesh: বাংলাদেশে একদিকে হিন্দু নির্যাতন, অন্যদিকে ভারত-বিদ্বেষ চরমে। এর মধ্যেই বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় জানালেন অন্তর্বর্তী সরকারে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বাংলাদেশে একদিকে হিন্দু নির্যাতন, অন্যদিকে ভারত-বিদ্বেষ চরমে। হিন্দু নির্যাতনের আবহেই ভারত বিরোধিতা। এর মধ্যেই এক বছর পর বাংলাদেশে ভোটের ইঙ্গিত ইউনূসের। বাংলাদেশে বিলম্বে ভোট, পড়শি দেশের অন্দরে বিরোধিতার সুর শোনা গিয়েছে। সরকার নামানো ও সরকার চালানো এক কথা নয়। নির্বাচনকে বিলম্বিত করা যাবে না। কোনও দলকে ক্ষমতায় আনতে নির্বাচন বিলম্বিত নয়। গদির লোভ ছাড়তে পারছেন না ইউনূস? উঠছে প্রশ্ন
আরও পড়ুন, Bangladesh: বদলের বাংলাদেশে ২০২৫ সালের শেষে দিকে হতে পারে জাতীয় নির্বাচন!
গত নভেম্বরেই বিএনপির তারেক রহমান স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন, যে সব সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে, তা একমাত্র সম্ভব নির্বাচিত সরকারের। নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে। বিলম্বিত নির্বাচন নিয়েও সতর্ক করেন তিনি। এই জায়গায় পরের বছর, বা তারও পরের বছর ভোটের কথায় বেড়েছে অসন্তোষ। কারণ ভোট কবে হবে, তাতে প্রধান উপদেষ্টা অনেক ‘যদি’ ও ‘কিন্তু’ রেখে দিয়েছেন। এই জায়গা থেকে সুর চড়িয়েছেন শেখ হাসিনাও। অভিযোগ করেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর এই কোন্দলের মাঝে মৌলবাদী অস্ত্রে শান দিচ্ছে জামাত, হেফাজতের মতো সংগঠনগুলি। সংবিধান নয়। শরিয়ায় ভর করে ইসলামি শাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে চলছে ফন্দি ফিকির। আদৌ গণতন্ত্র ফিরবে পড়শি দেশে? নাকি গদির লোভ ছাড়তে পারছেন না ইউনূস। প্রশ্ন আন্তর্জাতিক মহলে।
গত কয়েকদিন ধরেই রাজনৈতিক দলগুলো, বিশেষ করে বিএনপির নেতারা প্রায় প্রতিদিনই সরকারকে নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করার জন্য চাপ দিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত বিজয় দিবসের ভাষণে ভোটের দিনক্ষণ নিয়ে একটা ইঙ্গিত দিলেন বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, মুহম্মদ ইউনূস। আগামী বছরের শেষ দিকে অথবা ২০২৬-এর প্রথমে ভোট হওয়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন তিনি। কোনও রাজনৈতিক দল বা তত্ত্বাবধায়ক সরকার নয়। ভোট কবে হবে ঠিক করবেন সাধারণ মানুষ। পাল্টা বিএনপি।
অভিযোগ, ফ্যাসিস্ট ইউনূসের নেতৃত্বে অগণতান্ত্রিক এই গোষ্ঠীর জনগণের প্রতি কোনও দায়বদ্ধতা নেই। তারা ক্ষমতা দখল করে সকল জনকল্যাণমুখী কাজকে বাধাগ্রস্ত করছে। এই সরকার গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত না হওয়ায় তাদের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির বিরুদ্ধে বিষোদগার করা এবং তাদের কণ্ঠরোধ করা। বিপরীতে তারা স্বাধীনতাবিরোধী উগ্র-সাম্প্রদায়িক শক্তিকে প্রচ্ছন্নভাবে মদদ দিয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন, Bangladesh: বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশের আত্মপ্রকাশ, বিজয় দিবসে শহিদ স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানালেন ইউনূস
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)