নিজস্ব প্রতিনিধি : ভয়ানক নজরে চেয়ে আছেন এক কুত্সিত্ মহিলা। ঠিকরে বেরিয়ে আসছে তার দুটো চোখ। ক্রুঢ় সে দৃষ্টি যেন যে কোনও সময় ঝলসে দিতে পারে। ইন্টারনেটে এমন এক মহিলার ছবি ভাইরাল। সেই মহিলাই এখন ভয় ছড়াচ্ছে চারপাশে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ব্লু হোয়েল চ্যালেঞ্জের কথা আপনাদের মনে আছে নিশ্চয়ই? সেই মারণ গেম এখন অতীত। ব্লু হোয়েল চ্যালেঞ্জ নিয়ে একটা সময় বিভিন্ন দেশের সরকার চিন্তায় পড়ে গিয়েছিল। মূলত, কমবয়সীদের আকর্ষণ করছিল সেই মারণ গেম। খেলতে খেলতে গেমার কখন যে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছিল সে নিজেও বুঝতে পারছিল না। এবার সেই ব্লু হোয়েল গেম-এর পরিবর্ত হিসাবে এসেছে মোমো চ্যালেঞ্জ। মূলত হোয়াটস অ্যাপের মাধ্যমে ভাইরাল হচ্ছে এই অদ্ভুত গেম।


আরও পড়ুন-  পাকিস্তানে মেয়েদের ১২টি স্কুল পোড়ালো জঙ্গিরা


বিভিন্ন দেশের সাইবার অথরিটি মোমো চ্যালেঞ্জ নিয়ে ইতিমধ্যে দুশ্চিন্তায় পড়েছে। আর্জেন্টিনায় এরই মাঝে ১২ বছর বয়সী এক মেয়ে এই গেমের ফাঁদে পড়ে প্রাণ হারিয়েছে বলে খবর। তার পর থেকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, জার্মানি, আর্জেন্টিনা, মেক্সিকোর মতো দেশগুলোতে অনলাইন গেমের ক্ষেত্রে সতর্কতা বাড়ানো হয়েছে। এখন প্রশ্ন হল, এই মোমো চ্যালেঞ্জ আসলে ঠিক কেমন! যাঁকে টার্গেট করা হবে তাঁকে হোয়াটস অ্যাপে পাঠানো হবে একটা লিঙ্ক। টেক্সট করে তাঁকে অজানা এক নাম্বারে 'মোমো' লিখতে বলা হবে। মোমো লিখে টেক্সট করার মানে সে এই গেমে অংশ নিতে আগ্রহী। এর পর থেকেই গেমার বিভিন্ন রকম ভূতুড়ে ছবি পেতে শুরু করবে। সঙ্গে একের পর এক চ্যালেঞ্জ। ব্লু হোয়েলের মতোই এই গেমও শেষ হবে গেমারের মৃত্যু দিয়ে। অর্থাত্ কোনও না কোনও অছিলায় গেমারকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করানোই আসল উদ্দেশ্য। ঠিক ব্লু হোয়েলের মতো।


আরও পড়ুন-  হলিউডের কায়দায় চুরি সুইডেনের রাজপরিবারের সোনার মুকুট


সোশ্যাল মিডিয়ার এক অদ্ভুত দর্শন মহিলার ছবি ভাইরাল হয়েছে। বলা হচ্ছে, সেই মহিলার ছবিটাই আসলে মোমো চ্যালেঞ্জের পোস্টার। তুবড়ে যাওয়া মুখ, ঠিকরে বেরিয়ে আসা চোখ ও ভয় দেখানো হাসি সেই মহিলার। তাকে অনেকটা জাপানি পুতুলের মতো দেখতে। এই গেমের উদ্দেশ্য এখনও স্পষ্ট নয়। তবে সাইবার ক্রাইম রোধক বিভাগের একাংশের দাবি, মূলত তথ্য চুরি করাই এই গেমের মূল উদ্দেশ্য। তা ছাড়া গেমারকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা করা তো রয়েইছে। ইউরোপ ও আমেরিকার বেশ কয়েকটা দেশে ইতিমধ্যে মোমো চ্যালেঞ্জ নিয়ে সতর্কতা জারি হয়েছে। তবে এশিয়ার কোনও দেশে এখনও এই গেমের প্রকোপ নিয়ে খবর নেই। তবে অদূর ভবিষ্যতে এই মারণ গেম ভাইরাল হয়ে ছড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করছে বিভিন্ন দেশের সাইবার অথরিটি।