নিজস্ব প্রতিনিধি : যে কোনও রকমের বিস্ফোরক খুঁজে বের করতে কুকুরের জুড়ি মেলা ভার। পুলিশ থেকে শুরু করে সেনাবাহিনী, দুই জায়গাতেই সমান দক্ষতায় কাজ করে চলেছে অসংখ্য স্নিফার ডগ। কুকুরের পরিবর্ত হিসাবে আর কোনও প্রাণীকে সেভাবে এই কাজে পারদর্শীতা দেখাতে সচরাচর দেখা যায় না। কিন্তু যদি বলা হয়, এবার থেকে কুকুরের বদলি হিসাবে কাজ করবে বেজি! শুনলে চমকে উঠতে হয় বটে! তবে ঘটনাটা একদম সত্যি। বিশ্বে প্রথম কোনও দেশের সেনাবাহিনীতে এবার কুকুরের বদলি হিসাবে বিস্ফোরক উদ্ধারের কাজে ব্যবহার করা হবে বেজিকে। এমন আজব একখানা কাণ্ড করছে শ্রীলঙ্কার সেনাবাহিনী। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-  বিশ্বের সবচেয়ে অলস দেশ কুয়েত, ভারত রয়েছে ৫১-তে


শ্রীলঙ্কার সেনাবাহিনী এবার একদল বেজিকে নিয়োগ করেছে। শিকারি প্রানী হিসেবে বেজি বা নেউলের এমনিতেই সুনাম আছে। বিষাক্ত কোনও সাপ মারার জন্যও এই প্রাণীরা সুপরিচিত। শ্রীলঙ্কার সেনা কর্তারা বলছেন, ''মাইন এবং বিস্ফোরক খোঁজার কাজেও পারদর্শী বেজি। এদের ঘ্রানশক্তি কুকুরের থেকে কোনও অংশে কম নয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে বেজি কিন্তু কুকুরকেও টেক্কা দিতে পারে। আর এটা প্রমাণিত।'' লঙ্কান সামরিক বাহিনীতে আপাতত দু'টি বেজিকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ চলছে। বিভিন্ন রকম বিস্ফোরকের গন্ধ শুকিয়ে তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। 


আরও পড়ুন-  চল্লিশ বছর ধরে জ্বলছে আগুন! লোকে বলে, এটাই 'নরকের দ্বার'


শ্রীলঙ্কার সেনাবাহিনীর কর্তাদের একাংশের দাবি, বিদেশ থেকে আনা দামী কুকুরের থেকে অনেক ক্ষেত্রে দেশি বেজি বেশী কার্যকর। তবে এক্ষেত্রে সঠিক ট্রেনিং প্রয়োজন। বেজিদের প্রসিক্ষম দেওয়ার জন্য তারা বিশেষভাবে কয়েকজনকে দায়িত্ব দিয়েছে। কর্তাদের দাবি, মাটি থেকে এক মিটার উপরে লুকনো কোনও বিস্ফোরক খুঁজে বের করতে পারে এই প্রাণী। বেজিকে প্রশিক্ষন দিতে ৬ মাসের মতো সময় লাগে বলে জানিয়েছেন শ্রীলঙ্কার সেনাকর্তারা। প্রশিক্ষণরত বেজিদের সেনা সদস্যদের মতো পরিচিতি নম্বর দেওয়া হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যেই বেজিদের কাজে লাগানো হবে বলে খবর।