ছেলের জন্য ৩৫ ফিট লম্বা সুড়ঙ্গ খুঁড়ে দিলেন সহায়-সম্বলহীন মা, শেষরক্ষা হল না
সারাদিন ঘরেই বসে থাকতেন তিনি। কারও সঙ্গে মিশতেন না। কারও সঙ্গে সেভাবে কথাও বলতেন না।
নিজস্ব প্রতিবেদন- কারাগারের কাছেই একটি বাড়িতে ভাড়া নেন তিনি। মাসকয়েক আগে। কেউ তখন কিছুই আন্দাজ করতে পারেনি। সারাদিন ঘরেই বসে থাকতেন তিনি। কারও সঙ্গে মিশতেন না। কারও সঙ্গে সেভাবে কথাও বলতেন না। নিজের মতোই থাকতেন। তলে তলে তিনি যে এমন একটা কাণ্ড ঘটাচ্ছেন তা কেউ আন্দাজ করতে পারেনি। ৫১ বছর বয়সী এক মায়ের ছেলে ছাড়া এই দুনিয়ায় কেউ ছিল না। সহায়সম্বলহীন সেই মহিলার ছেলেকে পুলিস গ্রেফতার করে খুনের অভিযোগে। সাজা হয়। একমাত্র ছেলের হাজতে যাওয়ায় মহিলা এই বিরাট পৃথিবীতে হয়ে যান একেবারে একা। তাই ছেলেকে নিজের কাছে ফেরাতে চেয়েছিলেন তিনি।
খুনের অপরাধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। ছেলেকে জেল থেকে পালাতে সাহায্য করার জন্য মা খুঁড়ে দিলেন ৩৫ ফিট লম্বা ও ১০ ফিট চওড়া সুড়ঙ্গ। তিনি একাই এত লম্বা সুড়ঙ্গ খুঁড়লেন। সেই মহিলা ইচ্ছে করেই সারাদিন বাড়িতে থাকতেন। যাতে তাঁর সঙ্গে কেউ আলাপ জমাতে না আসে! ইউক্রেনের সেই মহিলা গভীর রাতে সুড়ঙ্গ খোঁডার কাজ শুরু করতেন। দিনের পর দিন সাইলেন্সর লাগানো ইলেকট্রিক স্কুটার দিয়ে তিনি সুড়ঙ্গ খোঁড়ার কাজ করতেন। ভাড়া বাড়ির নিচ থেকে তিনি সুড়ঙ্গ খুঁড়তে শুরু করেন। সেই সুড়ঙ্গ পৌঁছ গিয়েছিবল কারাগারের ভিতরে থাকা একটি মাঠ পর্যন্ত। আর কয়েকটা দিন পরই হয়তো সেই সুড়ঙ্গ তাঁর ছেলের সেল পর্যন্তও পৌঁছে যেত।
আরও পড়ুন- রাস্তার কুকুরের চাকরি হয়ে গেল গাড়ির শোরুমে, গলায় ঝুলছে আই-কার্ড
শেষরক্ষা হয়নি। ছেলেকে জেল থেকে পালাতে সাহায্য করতে পারেননি সেই মা। জেলের রক্ষীদের নজরে পড়ে যায় সেই সুড়ঙ্গ। মহিলার পর্দাফাঁস হয়েছে। তবে তিনি ছেলের জন্য যা করেছেন তা জেনে অনেকেই অবাক। একেবারে একার চেষ্টায় এত দীর্ঘ সুড়ঙ্গ খোঁড়া কিন্তু চাট্টিখানি কথা নয়। কিন্তু সন্তানের জন্য মায়েরা তো হামেশাই অসাধ্য সাধন করে। এ আর নতুন কী!