নিজস্ব প্রতিবেদন: মায়ানমারের শাসনক্ষমতা দখল করল সেদেশের সেনা। আগামী এক বছর গোটা দেশটা থাকবে সেনার হাতেই।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সোমবার এক সামরিক অভ্যুত্থান ঘটিয়ে এমনটাই ঘোষণা করেছে সেনা। পাশাপাশি দেশের প্রেসিডেন্ট,  ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রাসির প্রধান আং সাং সু কি(Suu Kyi) সহ দলের অধিকাংশ নেতাকে আটক করেছে সেনা। নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে ইন্টারনেট ও মোবাইল পরিষেবা।


সোমবার দেশের সেনা নিয়ন্ত্রিত Myawaddy TV-তে সংবিধানের একটি ধারা উল্লেখ করে বলা হয়, প্রয়োজন হলে দেশের সেনা ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে সেনা। প্রসঙ্গত, ভোটের পর সোমবার থেকেই সংসদ চালু হওয়ার কথা ছিল।


আরও পড়ুন-চার দিনের সফর, উত্তরবঙ্গ উৎসবের সূচনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়


আজ সকালেই দেশের অধিকাংশ রাদনীতিবিদকে আটক করে সেনা। তাদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। দেশের অনলাইন নিউজ পের্টাল The Irrawaddy-এ বলা হয়েছে  দেশের প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট ও দেশের শীর্ষ নেতা সুকি কে আটক করা হয়েছে। এছাড়াও ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রাসির সেন্ট্রাল একজিকিউটিভ কমিটির সদস্য, সাংসদেরও আটক করা হয়। 


উল্লেখ্য, টানা ৪৯ বছর সেনা শাসনে থাকার পর মায়ানমারে(Myanmar) প্রথম নির্বাচন হয় ২০১১ সালে। পরের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০২০ সালে। সেই নির্বাচনে দেশের দুই কক্ষ মিলিয়ে ৪৭৬ আসনের মধ্যে ৩৯৬ আসন দখল করে সু কি-র দল। কিন্তু নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগে বেশ কিছুদিন ধরেই সংঘাত চলছিল সেনা ও সু কি-র দলের সঙ্গে।


এদিকে, মায়ানমার সেনার সেদেশের ক্ষমতা দখল ও সু কি-কে আটক নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল ভারত। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, মায়ানমারের পরিস্থিতির উপরে কড়া নজর রেখে চলেছে ভারত। মায়ানমারের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়ায় সব সময়ে পাশে থেকেছে ভারত। তাই মায়ানমারে গণতন্ত্র ফেরারোন প্রক্রিয়া বজায় রাখা প্রয়োজন।


আরও পড়ুন-ফেব্রুয়ারির ৮-৯ এ বঙ্গ সফরে Amit, প্রথম ২ সপ্তাহে ঠাসা কর্মসূচি মোদী-শাহ-নাড্ডার


অন্যদিকে, মায়ানমারে সামরিক অভ্যুথ্থানে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জেন পাকি এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার উপরে মায়ানমারের সেনা যে পদক্ষেপ নিয়েছে তা নিয়ে উগ্বিগ্ন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এনিয়ে প্রসিডেন্ট জো বাইডেনকে জানানো হয়েছে। দেশের একাধিক নেতা সহ সুকি-কে আটকের ঘটনায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন।