নিজস্ব প্রতিবেদন- রামচন্দ্রের জন্মভূমি অযোধ্যা তাঁদের দেশে। এমন দাবি করে নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি এমনিতেই ব্যাকফুটে। তবে তিনি দমে যাওয়ার পাত্র নন। এবার আসল অযোধ্যায় খোঁজে খোঁড়াখুড়ির নির্দেশ দিয়েছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী। নেপালের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ বিভাগ এবার আদাজল খেয়ে মাঠে নেমে পড়েছে। ওলির আলটপকা মন্তব্য এমনিতেই বিতর্কের সৃষ্টি করেছিল। সেই দাবিতে সুর মিলিয়েছিলেন নেপালের বিদেশমন্ত্রীও। তিনিও বলেছিলেন, রামায়ণ ও রামচন্দ্রের বাসভূমির ইতিহাসের ভিত বিশ্বাসের উপর দাঁড়িয়ে। এই নিয়ে কখনও তেমন গবেষণা হয়নি। সঠিক পথে গবেষণা করলে রামায়নের ইতিহাস বদলে যেতে পারে বলে দাবি করেছিলেন তিনি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জানা যাচ্ছে, নেপালের প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সেখানকার প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের কর্তারা মাঠে নেমেছেন। নেপালের দক্ষিণে থোরি অঞ্চলের একটি নির্দিষ্ট জায়গায় খনন কাজ শুরু হবে বলে জানা যাচ্ছে। রামের জন্মভূমি নিয়ে গবেষণাও শুরু করবে তারা। নেপালের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ডিজি দামোদর গৌতম জানিয়েছেন, দেশের প্রধানমন্ত্রীর দাবির ভিত্তিতে তাঁদেরও কিছু দায়িত্ব রয়েছে। দেশের পুরাতাত্মিক ইতিহাস নিয়ে তারা অনুসন্ধান করবেন। ওলির দাবি নিয়ে দুই দেশের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়েছে। অযোধ্যার সাধু, মহন্তরা ইতিমধ্যে ওলিকে কথা শুনিয়েছেন। তবে নেপাল রামচন্দ্রের বাসভূমি খুঁজে বের করতে উঠেপড়ে লেগেছে।


আরও পড়ুন-  পাকিস্তানি নূর মেসুদকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী ঘোষণা করল রাষ্ট্রসংঘ


ইতিহাসবিদ, সাংস্কৃতিক বিশেষজ্ঞ, ধর্মগুরু, শিক্ষক, গবেষকদের নিয়ে একটি আলোচনাসভার আয়োজন করবে নেপালের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ। সেখানে সবার মতামত জানার পর আরো বেশ কয়েকটি জায়গায় খননকাজ শুরু করা হবে। এমনকী কোন জায়গায় প্রথমে খোঁড়াখুড়ি শুরু হবে তা নিয়েও আলোচনা হবে। প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছে, থোরি গ্রামের একটি নির্দিষ্ট এলাকায় আপাতত খনন কাজ চলবে। বারা, ধৌসা আর চিতবন জেলার একাধিক জায়গায় আগেও খনন কাজ হয়েছে। তবে ওলির দাবি ছিল  বীরগঞ্জে থোরিতেই ছিল আসল অযোধ্যা। নেপালি ভাষায় রামায়ণ অনুবাদ করা কবি ভানুভক্তের জন্মবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে তিনি এমন দাবি করেছিলেন। তিনি আরও দাবি করেছিলেন, নেপালের জনকপুরে (আগে নাম ছিল মিথিলা) ছিল সীতার বাড়ি। আর আসল অযোধ্যা ছিল থোরিতে।