করোনাভাইরাসে আক্রান্ত চিড়িয়াখানার বাঘ, শুকনো কাশি ৩ সিংহের
চার বছর বয়সী স্ত্রী মালয়ান টাইগার নাদিয়া গত কয়েকদিন ধরেই জ্বরে ভুগছিল। সেই সঙ্গে শুকনো কাশি, শ্বাসকষ্টে ভুগছিল বৃহদাকায় বাঘটি
নিজস্ব প্রতিবেদন : নিউ ইয়র্কের ব্রঙ্কসের চিড়িয়াখানার একটি বাঘের দেহে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ল। গত কয়েকদিন তার দেখভালের দায়িত্বে থাকা কেয়ারটেকারের থেকেই বাঘটি সংক্রমিত হয়েছে বলে প্রাথমিক অনুমান। সেই সঙ্গে চিড়িয়াখানারই আরও এক বাঘ ও তিন সিংহের দেহে করোনাভাইরাসের প্রাথমিক লক্ষণ দেখা গিয়েছে। তাদের লালারসের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
চার বছর বয়সী স্ত্রী মালয়ান টাইগার নাদিয়া গত কয়েকদিন ধরেই জ্বরে ভুগছিল। সেই সঙ্গে শুকনো কাশি, শ্বাসকষ্টে ভুগছিল বৃহদাকায় বাঘটি। শুধু সে নয়, নাদিয়ার সঙ্গে একই এনক্লোজারে থাকা তার বোন আজুলও একই শারীরিক সমস্যায় ভুগছিল। চিড়িয়াখানার তিন আফ্রিকান সিংহেরও একই ধরনের শুকনো কাশির সমস্যা হয়েছে। এর পরেই নড়েচড়ে বসেন চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। বাঘ ও সিংহদের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। আর তাতেই কোভিড নাইন্টিন পজিটিভ রিপোর্ট আসে নাদিয়ার।
আরও পড়ুন- ধারাভি বস্তি মুম্বইয়ের এপিসেন্টার হওয়ার আশঙ্কা, করোনা সংক্রমণ আটকাতে প্রাণপণ লড়াই পুর-আধিকারিকদের
ব্রঙ্কস্ চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়, "দীর্ঘদিন শারীরিক সমস্যা দেখা দেওয়ায় সাবধানতার কারণেই বাঘেদের লালারসের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। এর ফলে করোনাভাইরাস সম্পর্কে আমাদের কিছু অজানা থাকলে সেটাও জানা সম্ভব।" আপাতত চিকিত্সার ফলে কিছুটা ভাল আছে বাঘ ও সিংহগুলি। ভয়ের কোনও কারণ নেই বলেই জানিয়েছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। তবে, শরীর ভাল না থাকায় খাওয়াদাওয়ায় একটু অরুচি দেখা গেছে বাঘ ও সিংহগুলির মধ্যে।
পোষ্য বা বন্য জন্তুদের সংস্পর্শে এসে যে মানুষের সংক্রমণের এখনও কোনও ঘটনা ঘটেনি তা স্পষ্ট করে দেন চিড়িয়াখানার বিশেষজ্ঞরা। বিবৃতিতে বলা হয়, "উহানের বাজারে বন্য প্রাণীর মাংস ছাড়া অন্য কোনওভাবে প্রাণীদের থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমণের কোনও প্রমাণ মেলেনি।" অর্থাত্ ভয়টা মানুষ থেকে মানুষের সংক্রমণেই।
তবে কী জঙ্গলের রাজাদেরও করোনাভাইরাস হতে পারে? বিশেষজ্ঞদের উত্তর, এখনও সে ব্যাপারে নিশ্চিত করে কিছু বলা অসম্ভব। বাঘ-সিংহের শ্রেণির মধ্যে অসংখ্য প্রজাতি রয়েছে। নতুন কোনও ভাইরাসের ক্ষেত্রে এদের প্রত্যেকের শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা ভিন্ন। তাই এখনই কোনও সিদ্ধান্তে না পৌঁছনোই ভাল। বাঘগুলি কত দ্রুত সুস্থ হয়, সেদিকে নজর রাখলেই এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাবলী পাওয়া যাবে।