Bangladesh: দাঁড়াতে চাইলেন না কোনও আইনজীবীই, চিন্ময়ের শুনানি পিছোল ১ মাস! ততদিন কি সন্ন্যাসী কারাগারেই?
Bangladesh Chinmoy Krishna Das: জামিন শুনানি পর্যন্ত চিন্ময় দাসকে কারাগারেই থাকতে হতে পারে কি না, জানতে চাইলে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী বলেন, ধার্য তারিখের আগে জামিন পেতে চাইলে চিন্ময় দাসের পক্ষের আইনজীবীদের একটি পথ খোলা রয়েছে। কী পথ?
সেলিম রেজা, ঢাকা: বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ও বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময়কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন শুনানি হয়নি। মঙ্গলবার ধার্য তারিখে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার মহানগর দায়রা জজ মহম্মদ সাইফুল ইসলামের আদালতে তাঁর পক্ষে কোনো আইনজীবী শুনানি করেননি। পাশাপাশি রাষ্ট্রপক্ষও মামলাটি শুনানি না করে সময়ের আবেদন করেন। সব মিলিয়ে আদালত পরবর্তী জামিন শুনানির জন্য ২ জানুয়ারি তারিখ ধার্য করেন।
আরও পড়ুন: WATCH: দুঃসহ! শিলার উপর ধ্যানস্থ সুন্দরী অভিনেত্রীকে এসে ছোবল মারল সমুদ্রের বিশাল ফনা, তারপর...
বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট এনামুল হক বলেন, আজ চিন্ময় দাসের পক্ষে কোনো আইনজীবী আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। পাশাপাশি রাষ্ট্রপক্ষও শুনানির জন্য সময়ের আবেদন করেন। আদালত জামিন শুনানির জন্য ২০২৫ সালের ২ জানুয়ারি ধার্য করেছেন। যেহেতু শুনানি হয়নি এ কারণে আসামিপক্ষের উচ্চ আদালতে যাওয়ার সুযোগ নেই। আবার দায়রা জজ আদালতে অপেক্ষমাণ থাকার কারণে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতেও জামিন শুনানি করার সুযোগ নেই।
এক্ষেত্রে জামিন শুনানির ধার্য তারিখ ২ জানুয়ারি পর্যন্ত চিন্ময় দাসকে কারাগারে থাকতে হতে পারে কি না, জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী বলেন, ধার্য তারিখের আগে জামিন পেতে চাইলে চিন্ময় দাসের পক্ষের আইনজীবীদের একটি পথ খোলা রয়েছে।
কী পথ?
আরও পড়ুন: Potato Supply: মঙ্গলবার থেকেই আর পাতে পড়বে না আলু? আত্মারাম খাঁচাছাড়া বাঙালির...
সেটি হচ্ছে, তাঁরা জামিন শুনানির তারিখ এগিয়ে আনার জন্য চট্টগ্রাম জেলার মহানগর দায়রা জজ আদালতে আবেদন করতে পারেন। সেটি যদি আদালত না মঞ্জুর করেন, সেক্ষেত্রে এই আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যেতে পারেন। উচ্চ আদালত যদি মহানগর দায়রা জজকে তারিখ এগিয়ে এনে শুনানির জন্য নির্দেশ দেন, সেক্ষেত্রে ২ জানুয়ারির আগে শুনানির সুযোগ রয়েছে। তখনও জামিন দেওয়া বা না দেওয়া মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিষয়। এর পরও জামিন না হলে আসামিপক্ষ উচ্চ আদালতেও যেতে পারেন আবার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতেও জামিন শুনানি করতে পারেন।