নিজস্ব প্রতিবেদন— ১৪০০ বছরে এমনটা কখনও হয়নি। এবার করোনার জন্য সেটাই হচ্ছে জেরুজালেমের আল আকসা মসজিদে। রমজানে খা খা করছে মসজিদ চত্বর। পবিত্র রমজান মাসজুড়ে হাজার হাজার মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ পাশাপাশি দাঁড়িয়ে জামাতে নামাজ পড়েন। মাসের শেষের দিকে কখনও মানুষের সংখ্যা লাখ ছাড়িয়ে যায়। এবার একজনও মানুষ নেই মসজিদে। নামাজ পড়ার মতো কেউ নেই। প্রাণঘাতী ভাইরাস যেন গোটা দুনিয়ার সমস্ত হিসাব—নিকেশ বদলে দিয়েছে। আর তাতে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে তৃতীয় পবিত্রতম এই মসজিদ। আপাতত জেরুজালেমে সবরকম জমায়েত বন্ধ। মসজিদে জামাতে নামাজ আদায়ও বন্ধ। স্কুল—কলেজ, রেস্তোরাঁ সবই বন্ধ। শুক্রবার থেকে সেখানে শুরু হতে পারে এবারের রোজা। তবে তা নিয়ে এখন ফিলিস্তিনিদের মন খারাপ। পূর্ব জেরুজালেমের বাসিন্দা আম্মার বাকির বললেন, আল আকসা মসজিদ কখনও বন্ধ থাকতে পারে এটা আমরা স্বপ্নেও ভাবিনি। মসজিদ বন্ধের প্রভাব পড়ছে জনগণের মধ্যে। সবার মন খারাপ। পবিত্র রোজা এবাবে কাটবে আমরা মেনে নিতে পারছি না। মসজিদ চত্বরে কোনও মানুষ নেই। স্বপ্নেও এমন ছবি দেখিনি কখনও।


আরও পড়ুন— এই দুজন এতদিন জানতেনই না, করোনাভাইরাস বলে কিছু একটা বিশ্বে তাণ্ডব চালাচ্ছে


সারা বিশ্বে মহামারীর আকার ধারণ করেছে করোনা। এর মাঝে ২২ মার্চ থেকে আল আকসা মসজিদ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। নামাজ আদায় বন্ধ বলে ঘোষণা করে দেয় জেরুজালেম ইসলামিক ওয়াকফ কাউন্সিল। গত ১৬ এপ্রিল জানানো হয়, এই নিষেধাজ্ঞা এবারের রমজান মাস জুড়ে অব্যাহত থাকবে। তারাবিহ—র নামাজ এবার বাড়িতেই আদায় করার অনুরোধ করে কর্তৃপক্ষ। নামাজ আদায় বন্ধ থাকলেও আল আকসায় যথারীতি পাঁচ ওয়াক্ত আজান দেওয়া হবে। আল-আকসার পরিচালক শেখ ওমর আল-কিসোয়ানি বলেছেন, গত ১৪০০ বছরে এমন কখনও হয়নি। সবার মনে কষ্ট হচ্ছে ঠিকই। কিন্তু এই ভাইরাসের হাত থেকে বাঁচতে এমন কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়া ছাড়া উপায় ছিল না। প্রসঙ্গত, ফিলিস্তিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩৩৫। মারা গিয়েছেন দুজন।