নিজস্ব প্রতিবেদন— খুব ক্ষীণ। তবে এই দুর্দিনে এটুকু আশার আলোই বা কম কী! চিনে নতুন করে কারও করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর নেই। করোনাভাইরাসের আঁতুড়ঘর চি্ন। আর সেখানে গত কয়েক মাসে এই প্রথমবার নতুন করে কারও করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর নেই। চিনের স্বাস্থ্যমন্ত্রক বলছে, ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হওয়ার পথে তাদের দেশ। তবে অন্য দেশগুলির কী হবে! আমেরিকা, ইতালি, স্পেন, জার্মানি এমনকী ভারতেও করোনায় মৃতের সংখ্যা রোজ বাড়ছে। চিন সেরে উঠলেও বাকি সব দেশগুলি কি এত সহজেই এই সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে পারবে! প্রশ্ন থাকছে। তা ছাড়া চিনের বিরুদ্ধে তথ্য গোপনের অভিযোগ রয়েছে। সেই অভিযোগ কয়েকবার সঠিক বলেও প্রমাণিত হয়েছে। সেই জন্য অনেকেই বলছেন, করোনা আক্রান্ত শূন্য হওয়ার খবর শেষমেশ ভুয়া নয় তো!


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বেইজিং—এর ন্যাশনাল হেলথ কমিশন শনিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, চিনের মূল ভূখণ্ডে মাত্র দু'জন রোগী সন্দেহের তালিকায় রয়েছেন। একজন সাংহাইতে থাকেন। অন্যজন উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জিলিয়ান প্রদেশের বাসিন্দা। তবে দুজনেই এখনও সন্দেহের তালিকায়। চিনে ২২ মে নতুন করে কোনও করোনা আক্রান্ত রোগীর হদিশ পাওয়া যায়নি। ২১ মে চারজন সেখানে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন নতুন করে। কিন্তু ২২ মে একজন রোগীরও হদিশ মেলেনি। আর তাতেই আশার আলো দেখছে চিন। এমনকী সেখানে উপসর্গহীন রোগীর সংখ্যাও ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে। আগে সেখানে উপসর্গহীন রোগী ছিল ৩৫। এখন সেটা কমে দাঁড়িয়েছে ২৮ জন। 


আরও পড়ুন— করোনায় থাবায় কাবু গোটা দেশ, এরকম অবস্থায় পরমাণু পরীক্ষার তোড়জোড় করছেন ট্রাম্প!


চিনে এখনও পর্যন্ত ৮২ হাজার ৯৭১ জন করোনায় আক্রান্ত। অন্তত চিন সরকার তেমনই হিসাব দিয়েছে। মৃত্যু হয়েছে চার হাজার ৬৩৪ জনের। যদিও আমেরিকা দাবি করেছে, এই সংখ্যা একেবারেই ভুল। এমনকী চিনের বহু সংবাদমাধ্যমও তথ্য গোপনের অভিযোগ করেছে সরকারের বিরুদ্ধে। হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে করোনা ছড়াতে শুরু করেছিল। এই মারণ ভাইরাসের উত্পাতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে বিশ্বের ২১৩টি দেশ। সংক্রমণ কমার কোনও লক্ষ্মণ নেই। উল্টে রোজই আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বিভিন্ন দেশে চলছে লকডাউন।