নিজস্ব প্রতিবেদন: এ কি সেই নাকের বদলে নরুন? মানে, অ্যাপের বদলে মাছ? নাকি, সীমান্ত সংঘাতের বদলা?


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

না হলে এতদিন পরে চিন হঠাৎ করে কেন ভারত থেকে রফতানি করা মাছ নিয়ে নিষেধাজ্ঞা দিতে যাবে? তা-ও আবার করোনা নিয়ে! করোনা তো অনেকাটই নিয়ন্ত্রণে এখন। 


লাদাখে ভারত-চিন সংঘাত শুরু হওয়ার পরে বেশ কিছু চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল নরেন্দ্র মোদীর সরকার। চিনাদ্রব্য বয়কটের ডাক দিয়েছিল ভারতের বেশ কিছু সংগঠন। মোদীজি আত্মনির্ভর ভারতের প্রসঙ্গে চিনের জিনিস না কেনার কথা বলেছিলেন। কিন্তু দু'দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়নি। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, যে পরিমাণ বাণিজ্য দু'দেশের মধ্যে হয়, তাতে তা বন্ধ হওয়া কঠিন।


ভারতের সঙ্গে চিনের বাণিজ্য যোগাযোগ দীর্ঘ দিনের। সাম্প্রতিক ভারত-চিন সংঘাতের আবহে তা কিছুটা ধাক্কা খেলেও এখনও বহু জিনিসই ভারত পাঠায় চিনকে। চিনও ভারতে বহু পণ্য পাঠায়। কিন্তু এ বার সেই সবকিছুতেই রাশ টানছে চিন। সম্প্রতি চিন ভারতকে জানিয়ে দিয়েছে, কিছুদিনের জন্য ভারত থেকে মাছ নেবে না তারা।


চিন জানিয়েছে, করোনার কারণেই মাছের রপ্তানি আপাতত বন্ধ রাখা হচ্ছে। চিনের একটি ল্যাবরেটরির সূত্রে জানা যাচ্ছে, ভারত থেকে যে মাছ চিনে পাঠানো হয়, দু'বার সেই মাছের প্যাকিংয়ে করোনা ভাইরাস মিলেছে। তার পরেই মাছ আমদানি সাময়িক বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।


আগামী এক সপ্তাহ এই সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে বলে জানা গিয়েছে। তারপর পরিস্থিতি বুঝে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলে চিন সরকার জানিয়েছে। এর ফলে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের খানিকটা ক্ষতির মুখে পড়তেই হবে।


আরও পড়ুন:  শীত পড়ার সঙ্গে সঙ্গে জাপানে সংক্রমণ বাড়ছে