নিজস্ব প্রতিবেদন: দেশের নোবেল জয়ী পাশে না দাঁড়ালেও, পাশে দাঁড়িয়েছেন ভিন দেশি নোবেল জয়ী। অমর্ত্য সেন মোদীর নোট বাতিলের সিদ্ধান্তকে কড়া সমালোচনা করায় বেশ খানিকটা ব্যাকফুটে চলে গিয়েছিলেন নমো। এমন একজন বিশ্ব বরেণ্য অর্থনীতিবিদের সমালোচনায় রীতিমতো কোণঠাসা হতে হয়েছিল গেরুয়া শিবিরকেও। কিন্তু এবার মোদীর 'বন্ধু বারাকে'র দেশের নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ প্রশংসা করলেন সেই নোট বাতিলের সিদ্ধান্তকেই।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- সংযমের দিশা দেখিয়ে অর্থনীতিতে নোবেল জয়ী রিচার্ড থালে


নীল টিক যুক্ত ভ্যারিফায়েড টুইটার অ্যাকাউন্ট না হলেও, সদ্য নোবেল প্রাপ্ত অর্থনীতিবিদ রিচার্ড থালের নামাঙ্কিত টুইটার অ্যাকাউন্টটিকে ফোলো করেন বিশ্বের বহু বিখ্যাত ব্যক্তি। এই বিখ্যাতদের তালিকায় রয়েছেন বারাক ওবামার উপদেষ্টা থেকে ওয়ার্ল্ড স্ট্রিট জার্নালের প্রবীণ সাংবাদিক সকলেই। আর সেই টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকেই এসেছিল মোদীর বিমুদ্রাকরণের প্রতি প্রশংসার বার্তা।


আরও পড়ুন- কিমের কোরিয়ায় নারী নক্ষত্রের উত্থান



মোদীর নোটবন্দি পদক্ষেপকে সমর্থন করেন বলে জানিয়েছিলেন রিচার্ড। তিনি মনে করেন, দুর্নীতি কমাতে এবং দেশকে ক্যাশলেস করতে বিমুদ্রাকরণ সাহায্য করবে। কিন্তু এর পাশাপাশি তিনি এও জানান, ভারতীয় বাজারে ২০০০ টাকার নোট চালু করার সিদ্ধান্তকে তিনি সমর্থন করেন না। ২০১৬ সালের নভেম্বরে যখন ভারতে বিমুদ্রাকরণের পদক্ষেপ  গ্রহণ করা হয়, সে সময়তেই তিনি এমন মত ব্যক্ত করেন।


সোমবার নোবেল কমিটির তরফ থেকে জানানো হয়, আচরণবাদী অর্থনীতিতে অবদানের জন্য ২০১৭ সালে অর্থনীতিতে নোবেল পাচ্ছেন শিকাগো বুথ স্কুল অব বিজনেস বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কিন অধ্যাপক রিচার্ড থালের।


২০১৬-তে রাতারাতি নোটবাতিলের সিদ্ধান্তকে একদল অর্থনীতিবিদ 'ঐতিহাসিক' বলে দাবি করলেও অনেক অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞের সমালোচনায় বিদ্ধও হতে হয় মোদী সরকারকে। যশবন্ত সিন্হা, অরুণ শৌরির মতো প্রবীণ বিজেপি নেতারাও নোটবাতিলের কারণে দেশের অর্থনীতি ‘থমকে’ গেছে বলে সমালোচনার সুর তোলেন। এনডিটিভি-কে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে একদা বাজপেয়ী সরকারের ক্যাবিনেট মন্ত্রী শৌরি বলেন, “নোট বাতিল দেশের সবচেয়ে বড় আর্থিক তছরূপের স্কিম।”


নোটবাতিল রেশ কাটতে না কাটতেই বর্তমান বছর দেশ জুড়ে জিএসটি চালু হওয়ায় জাতীয় অর্থনীতি কিছুটা নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত হয়েছে বলে বকলমে মেনে নিলেও  এই দুই পদক্ষেপ আগামী দিনে অর্থনীতিতে নতুন দিশা দেখাবে বলে আশাবাদী  মোদী সরকার। কিন্তু, শেষ ত্রৈমাসিকে জিডিপি-র হার ৫.৭-এ নেমে আসায় এখনও পর্যন্ত তেমন কোনও আলো দেখতে পাচ্ছে না ওয়াকিবহাল মহল।