নিজস্ব প্রতিবেদন: শারীরবিদ্যার পর এবার নোবেল পুরস্কার ঘোষিত হল পদার্থবিদ্যায়। পদার্থবিদ্যার এই পুরস্কার আর একবার পরিবেশের যত্নের কথা মনে করাল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

২০২১ সালে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেলেন তিন বিজ্ঞানী-- জাপানি বংশোদ্ভূত স্যুকুরো মানাবে, জার্মান ক্লাউস হাসেলমান এবং ইতালীয় জর্জিও পারিসি। তাঁদের সবারই কাজ 'ফিজিক্যাল কমপ্লেক্স সিস্টেম' বা জটিল ভৌত ব্যবস্থা নিয়ে।


জটিল যেকোনো ব্যবস্থার মূল বৈশিষ্ট্য এর এলোমেলো আচরণ, এর বিশৃঙ্খলা। এগুলি বুঝে, এর উপর ভিত্তি করে কিছু অনুমান করা আরও কঠিন! কিন্তু এই জটিল কাজটিই এবার করেছেন এই তিন বিজ্ঞানী। তাঁদের এই জটিল কাজকেই এবার স্বীকৃতি দিল নোবেল কমিটি।


আরও পড়ুন: World Teachers' Day 2021: সমাজের প্রতি শিক্ষকদের অবদানকে স্বীকৃতি দেওয়ার দিন


পৃথিবীর জলবায়ু মানবজাতির কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিজ্ঞানী স্যুকুরো মানাবে গবেষণায় তাঁর দেখিয়েছেন, বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই-অক্সাইডের মাত্রা বাড়লে ভূপৃষ্ঠে তাপমাত্রা বেড়ে যায়। ১৯৬০ সালে মানাবের নেতৃত্বে একদল বিজ্ঞানী প্রথম পৃথিবীর জলবায়ুর ভৌত মডেল গড়েছিলেন। পাশাপাশি, তেজস্ক্রিয়তার ভারসাম্য ও বায়ুপুঞ্জের লম্বভাবে ওঠা-নামার মিথস্ক্রিয়া নিয়ে তিনিই প্রথম কাজ করেন। তাঁর কাজের উপর নির্ভর করেই গড়ে উঠেছে জলবায়ুর হালের সব মডেল।


এর প্রায় দশ বছর পরে ক্লাউস হেসেলমান আবহাওয়া ও জলবায়ুর মধ্যকার সম্পর্ক নিয়ে একটি মডেল গড়ে তোলেন। তাঁর গবেষণা গুরুত্বপূর্ণ এক প্রশ্নের জবাব দিল। আবহাওয়া পরিবর্তনশীল এবং বিশৃঙ্খল এক বিষয়। তবু তাঁর গবেষণা বলল, তা সত্ত্বেও বিজ্ঞানীদের গড়া জলবায়ু মডেল যথেষ্ট নির্ভরযোগ্য। পাশাপাশি, প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম ঘটনা আলাদাভাবে চেনার উপায়ও আবিষ্কার করেন তিনি। নির্দিষ্ট ধরনের সিগন্যাল দেখে এটা বোঝা সম্ভব। স্পষ্ট বোঝা যায়, কোনো বিপর্যয় বা বনাঞ্চলে অগ্নিকাণ্ড প্রাকৃতিক, নাকি কৃত্রিম। তাঁর এ পদ্ধতি ব্যবহার করে নিশ্চিত ভাবে জানা গেল, বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বৃদ্ধির জন্য দায়ী মানুষই।


জর্জিও পারিসি বিশৃঙ্খল জটিল পদার্থের মাঝে লুকিয়ে থাকা গোপন প্যাটার্ন বা বিন্যাস আবিষ্কার করলেন ১৯৮০ সালে। শুধু পদার্থবিজ্ঞানেই নয়, তাঁর কাজ গণিত, জীববিজ্ঞান, স্নায়ুবিজ্ঞান এবং মেশিন লার্নিংয়ের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা হয়। কোয়ান্টাম ক্রোমোডাইনামিক্স থেকে শুরু করে কনডেন্সড ম্যাটার ফিজিক্স, ডাইনামিক সিস্টেম ইত্যাদি ফিল্ডে তাঁর অবদান অবিস্মরণীয়।


স্যুকুরো মানাবে ও ক্লাউস হাসেলমান এই নোবেল পুরস্কারের অর্থমূল্যের অর্ধেক পেয়েছেন যুগ্মভাবে। বাকি অর্ধেক পেয়েছেন জর্জিও পারিসি।


তাঁদের এই গবেষণা আমাদের বলে-- বৈশ্বিক উষ্ণতা কাল্পনিক বিষয় নয়। জলবায়ুর প্রতি, পৃথিবীর প্রতি আমাদের আরেকটু যত্নশীল হওয়া জরুরি।


(Zee 24 Ghanta App : দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)


আরও পড়ুন: Nobel Prize 2021: তাপ ও স্পর্শে কীরকম আচরণ করে ত্বকের স্নায়ু? গবেষণা করে চিকিৎসাবিজ্ঞানে পুরস্কারজয় দুই মার্কিন বিজ্ঞানীর