Nobel Prize in Physics: পুরস্কৃত ৩ বিজ্ঞানী! এবারের পদার্থবিদ্যায় নোবেলে কি তাহলে `আলো আমার আলো`?
Nobel Prize in Physics: `অ্যাটোসেকেন্ড`! এবারের পদার্থবিদ্যায় নোবেল দেওয়ার সূত্রে একটি নতুন শব্দ উঠে এল, যা সচরাচর শোনা যায় না। বিষয়টি জড়িত ইলেকট্রন ডায়নামিক্সের সঙ্গে। মূল কথাটা `অ্যাটোসেকেন্ড পালস`।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: 'অ্যাটোসেকেন্ড'! এবারের পদার্থবিদ্যায় নোবেল দেওয়ার সূত্রে একটি নতুন শব্দ উঠে এল, যা সচরাচর শোনা যায় না। বিষয়টি জড়িত ইলেকট্রন ডায়নামিক্সের সঙ্গে। মূল কথাটা 'অ্যাটোসেকেন্ড পালস'। ইলেকট্রনের জগৎকে ঘিরে নতুন করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য এমন এক পদ্ধতি আবিষ্কৃত হয়েছে যার মাধ্যমে আলোর 'অ্যাটোসেকেন্ড পালস' তৈরি হয়! ফলত, নোবেলের পদার্থবিদ্যায় এবার কী হল? সাদা কথায়, তিন বিজ্ঞানী এবারে অনু ও পরমাণুর ভিতরের ইলেকট্রনের জগৎকে নতুন করে এক্সপ্লোর করার এক পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন!
আরও পড়ুন: Nobel Prize 2023: করোনাভাইরাসের টিকা তৈরির নেপথ্য কারিগরদের হাতেই উঠল নোবেল...
তবে সেই পদ্ধতি আবিষ্কারটা এল আলো নিয়ে পরীক্ষার মাধ্যমেই। আলো নিয়ে নতুন গবেষণার জন্য মঙ্গলবার, পদার্থবিজ্ঞানে ২০২৩ সালের নোবেল পুরস্কার দেওয়া হল দুই ফরাসি বিজ্ঞানী পিয়ের অ্যাগস্টিনি, অ্যানে ল'হুইলিয়ার এবং হাঙ্গেরিয়ান-অস্ট্রিয়ান বিজ্ঞানী ফেরেঙ্ক ক্রাউজ। রয়্যাল সুইডিশ আকাদেমি অব সায়েন্সেস জানিয়েছে, আলো নিয়ে এই তিনজনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা মানবজাতির হাতে অণু-পরমাণুর ভিতরের ইলেকট্রনের জগতে অন্বেষণের জন্য নতুন সরঞ্জাম তুলে দিয়েছে।
অ্যান ল'হুইলিয়ার একটি পরীক্ষা করেছিলেন। গ্যাসের মধ্যে দিয়ে ইনফ্রারেড লেজার পাঠিয়েছিলেন। দেখেছিলেন, গ্যাসের পরমাণুর সঙ্গে লেজার আলোর মিথস্ক্রিয়ায় একটি আলোক-তরঙ্গ তৈরি হচ্ছে। এর বহু পরে পিয়ের অ্যাগস্টিনি মাত্র ২৫০ অ্যাটোসেকেন্ড স্থায়িত্বের লাইট পালস তৈরি করেছিলেন। আবার প্রায় একই সময়ে, ফেরেঙ্ক ক্রাউজের পরীক্ষাগুলি থেকে ৬৫০ অ্যাটোসেকেন্ড স্থায়িত্বের আলোর স্পন্দন তৈরি করা গিয়েছিল। আর এসবের ফলেই, অতি দ্রুত ঘটে যাওয়া যেসব বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়াগুলি এতদিন পরিমাপ করা যেত না, এখন সেগুলি 'স্টাডি' করা সম্ভব হয়েছে।
সে না হয় হল, কিন্তু, কথা হল, এই 'অ্যাটোসেকেন্ড' বস্তুটি কী?
আরও পড়ুন: গ্রহের খোঁজ মিলল আমাদের চিরচেনা কালপুরুষ নক্ষত্রমণ্ডলীতেই?
সে এক মাথা-ঘোরানো বিষয়। ১ অ্যাটোসেকেন্ড মানে-- ১ সেকেন্ডের ১ কুইন্টিলিঅনথ; এর মান-- ০.০০০০০০০০০০০০০০০০০১। আলোর এই অ্যাটোসেকেন্ড স্পন্দন এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যেখানে ইলেক্ট্রনগুলি তার শক্তি পরিবর্তন করে, সেখানে ইলেক্ট্রনের দ্রুতগতির প্রক্রিয়াগুলি পরিমাপ করতে পারে সে।