নিজস্ব প্রতিবেদন: চলে গেলেন নোবেল জয়ী সাহিত্যিক বিদ্যাধর সুরজপ্রসাদ নইপল(৮৫)। ভারতীয় বংশো্ভূত এই ঔপন্যাসিকের মৃত্যু হয়েছে লন্ডনে তাঁর বাসভবনে। এমনটাই জানিয়েছেন তাঁর স্ত্রী নাদিরা নাইপল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বরাবর সৃজনশীলতা নিয়েই বেঁচে থাকতে ভালোবাসেন নইপল। এমনটাই জানিয়েছেন তাঁর স্ত্রী নাদিরা নইপল। স্বামীর মৃত্যুর পর এক বিবৃতি দিয়ে তিনি জানিয়েছেন, সৃজনশীলতার সঙ্গে থেকেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। শেষ সময়ে তাঁর প্রিয়জনরা তাঁর সঙ্গেই ছিলেন।


আরও পড়ুন-অত্যন্ত সঙ্কটজনক লোকসভার প্রাক্তন অধ্যক্ষ সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়


ত্রিনিদাদে জন্ম নিলেও ‘দ্যা মিস্টিক মাস্যা’-র লেখক নইপল ছিলেন ব্রিটিশ নাগরিক। সেখানেই পড়াশোনা। ১৮ বছর বয়সে চলে ত্রিনিদাদ থেকে স্কলারশিপ থেকে চলে আসেন লন্ডনে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে। জীবনে ত্রিনিদাদের থেকে ব্রিটেনেই বেশিরভাগ সময় ছিলেন। আর ১৯৫৭ সালেই লিখে ফেলেন তাঁর প্রথম উপন্যাস দ্যা মিস্টিক মাস্যা। ওই উপন্যাসই পাঠকদের নজর কেড়ে নেয়। ধীরে ধীরে তা নইপলকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরে।


একের পর এক সাড়া জাগানো উপন্যাস বেরিয়েছে তাঁর হাত থেকে। আ হাউস ফর মিস্টার বিশ্বাস, ইন আ ফ্রি স্টেট, আ বেড ইন দ্যা রিভার-এর মতো উপন্যাস তাঁকে এনে দিয়েছে দুনিয়াজোড়া খ্যাতি। ২০০১ সালে সাহিত্যে নোবেল আসে তাঁর ঝুলিতে। ১৯৮৯ সালেই পেয়েছিলেন নাইটহুড উপাধি।


আরও পড়ুন-'আল ফাল' মিথ্যা বলেছেন অমিত শাহ, আইনি পদক্ষেপের হুমকি তৃণমূলের


সোশ্যাল মিডিয়ায় বহু বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ নইপলের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন। অনেকেই তাঁর স্মৃতিচারনায় ফিরে গিয়েছেন। বিশিষ্ট সাংবাদিক হরি কুঞ্জ ট্যুইট করেছেন, ‘বিবিসি-র জন্য নইপলের একটি সাক্ষাতকার নিয়েছিলাম। ওই সাক্ষাতকার নেওয়া শুরু করতেই প্রশ্ন করে বসলেন, বল আমার কোন কোন লেখা তোমার পড়া রয়েছে। ওকে দ্যা হাউস অব মিস্টার বিশ্বাস-এক একটা কপি দেখালাম। সেখানে ওর সাক্ষর করা রয়েছে। উনি সচারচর কোনও বইতে সাক্ষর বা অটোগ্রাফ দিতেন না। নিজের সাক্ষর দেখে অবাক হয়ে গেলেন।’