জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে চিনের সঙ্গে ভারতের ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের  ভারতের সঙ্গে যৌথ মহড়া নিয়ে চিনকে (China) কড়া বার্তা দিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (USA)। চলতি সপ্তাহেই উত্তরাখণ্ডে ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যৌথ সামরিক মহড়া (Joint Military Exercise) চালায়। তাতেই আপত্তি তোলে চিন। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় শান্তিপূর্ণ অবস্থান বজায় রাখতে চিন-ভারতের মধ্যে যে চুক্তি হয়েছিল, তা লঙ্ঘন করা হয়েছে এই অভিযোগ তুলে সামরিক মহড়ার নিন্দা করে তারা। যদিও চিনের দাবিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ জো বাইডেনের দেশ। উল্টে তারা কড়া বার্তা দিয়েছে। বলেছে-- ভারত-আমেরিকার যৌথ সামরিক মহড়া চিনের নাক গলানোর বিষয় নয়। সম্প্রতিই জি-২০ সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও চিনের প্রেসিডেন্ট জি জিনপিংয়ের সাক্ষাতে ভারতের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্কে কোনও প্রভাব পড়বে না বলেও তিনি জানান।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: Ruchira Kamboj: ভারতকে অন্তত গণতন্ত্র বোঝাতে হবে না! রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে কড়া বার্তা...


মার্কিন রাষ্ট্রদূত এলিজাবেথ জোনস বলেন-- আমি আমার ভারতের সহকর্মীদের বলতে চাই, আমাদের দুদেশের সামরিক মহড়া ওদের (চিনের) নাক গলানোর বিষয় নয়। ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যকেও সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে জানান তিনি। এলিজাবেথ বলেন, বিগত ৭ বছরে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য দ্বিগুণ হয়ে ১৫৭ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। এরপরে আলাদাভাবে আর ভারত-আমেরিকার মধ্যে বাণিজ্যচুক্তির কোনও প্রয়োজন নেই।


চলতি সপ্তাহেই উত্তরাখণ্ডের আউলিতে যৌথ সামরিক মহড়া চালিয়েছে ভারত ও আমেরিকা। ইন্দো-চিন সীমান্ত থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে এই সামরিক মহড়া ভারত-চিনের সীমান্ত-চুক্তিকে লঙ্ঘন করেছে বলে দাবি করে চিন। পাল্টা জবাবে বৃহস্পতিবার বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বলা হয়, ভারত নিজের ইচ্ছা মতো যেকোনও দেশের সঙ্গে সামরিক মহড়া চালাতে পারে। এই বিষয়ে ভারত তৃতীয় কোনও দেশকে মন্তব্য করার অধিকার দেয়নি। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী বলেন, এই যৌথ সামরিক মহড়ার সঙ্গে ১৯৯৩ ও ১৯৯৬ সালের চিনের সঙ্গে হওয়া চুক্তির কোনও সম্পর্ক নেই। চিন যে নিজে চুক্তি লঙ্ঘন করেছে, তা মনে রাখা উচিত! 


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)