North Korea Nuclear Weapons: পরমাণু অস্ত্রের নতুন আইন উত্তর কোরিয়ায়, ভয়ংকর কী করতে পারেন কিম জন-উন...
তাঁর দেশের উপর যে কোনও ধরনের নিষেধাজ্ঞা চাপানো হলেও তিনি কখনও পরমাণু অস্ত্র সমর্পণ করবেন না বলেও জানান কিম জন-উন। আর তাতেই শঙ্কিত বিশ্বের কিছু কিছু দেশ।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ২০১৩ সালের মূল আইনে বলা হয়েছিল, পারমাণবিক অস্ত্রধারী শত্রুরাষ্ট্রের আগ্রাসন কিংবা হামলা প্রতিহত করতে এবং প্রতিশোধমূলক হামলা করতে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে উত্তর কোরিয়া। কিন্তু নতুন যে আইন এল, তার বলে উত্তর কোরিয়া ঘটতে চলেছে এমন যে কোনও ব্যাপক বিধ্বংসী অস্ত্রের হামলার আগে কিংবা যে কোনও দেশের কোনও বিশেষ লক্ষ্যবস্তুতে হামলার বিষয়টি শনাক্ত হলে আগেভাগে সেখানে পারমাণবিক হামলা চালানোর সুযোগ পেতে চলেছে। উত্তর কোরিয়ার পার্লামেন্ট সুপ্রিম পিপলস অ্যাসেম্বলি বৃহস্পতিবার আইনটি পাস করে। ২০১৩ সালে প্রণীত এ-সংক্রান্ত আইনের পরিবর্তে নতুন এই আইনটি করা হল। এর ফলে, দেশটি পরমাণু অস্ত্রধারী কি না, প্রথমবারের মতো তা উঠে এল। আর তাতেই শঙ্কিত বহু দেশই। আত্মরক্ষার স্বার্থে আগেই পারমাণবিক হামলা চালানোর অধিকারের নতুন এক আইন পাস করেছিল উত্তর কোরিয়া। উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন বলেছেন, এই আইন পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের আলোচনার পথ বন্ধ করে দিয়েছে। এমন সময় এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, যখন ২০১৭ সালের পর প্রথমবারের মতো পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা শুরুর জন্য উত্তর কোরিয়া প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে আঁচ করছেন সংশ্লিষ্ট পর্যবেক্ষকেরা।
২০১৭ সালের ঐতিহাসিক বৈঠকে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ২০১৮ সালে অন্য বিশ্ব নেতারা পরমাণু অস্ত্র তৈরি থেকে সরে আসতে কিম জন উনকে রাজি করাতে ব্যর্থ হয়েছিলেন। নতুন আইনের প্রেক্ষিতে পার্লামেন্টে দেওয়া ভাষণে কিম বলেছেন, পরমাণু অস্ত্র নীতিসংক্রান্ত আইন প্রণয়নের বিশেষ তাৎপর্য হল, একটি অপরিবর্তনীয় সীমারেখা টেনে দেওয়া, যাতে আমাদের এই অস্ত্র নিয়ে কোনো দর-কষাকষি না হয়। যে কোনও ধরনের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হলেও তিনি কখনও এ অস্ত্র সমর্পণ করবেন না বলেও জানান।
কোন কোন ক্ষেত্রে উত্তর কোরিয়া ব্যবহার করতে পারে পরমাণু অস্ত্র? যদি কোনও তরফে পরমাণু হামলার হুমকি থাকে; যদি তাঁর দেশের নেতৃত্ববর্গ, সাধারণ মানুষ কোনও হুমকির মুখে পড়েন; যদি যুদ্ধের সময় নিজেদের প্রাধান্য বজায় রাখার প্রয়োজন অনুভূত হয়। দেশটির তরফে বলা হয়েছে, নতুন এই আইন পরমাণু অস্ত্রধারী রাষ্ট্র হিসেবে উত্তর কোরিয়ার অবস্থানকে সুসংহত করবে।