UK PM Rishi Sunak: `ব্রিটেন যে মিশ্র সংস্কৃতির দেশ, সেটা আরও জোরাল ভাবে প্রতিষ্ঠিত হল`
ইংল্যান্ডের অনাবাসী কর্পোরেট কর্তা সৌরভ নিয়োগী ও প্রাক্তন ক্রিকেটার দিলীপ দোশীর সঙ্গে কথা বললেন জি ২৪ ঘণ্টার এডিটর গৌতম ভট্টাচার্য।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ব্রিটেনে ঋষি-রাজ। স্বাধীনতার ৭৫ বছরে ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের বাসিন্দা হতে চলেছেন এক ভারতীয় বংশোম্ভূত! ২৮ অক্টোবর প্রথম অশ্বেতাঙ্গ হিসেবে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন ঋষি সুনক। যাঁরা প্রবাসী, তাঁদের কাছে এর তাৎপর্য কতটা? কর্পোরেট কর্তা সৌরভ নিয়োগী ও প্রাক্তন ক্রিকেটার দিলীপ দোশীর সঙ্গে কথা বললেন জি ২৪ ঘণ্টার এডিটর গৌতম ভট্টাচার্য।
আদি নিবাস পঞ্জাবে। ষাটেক দশকে দেশ ছেড়ে ইংল্যান্ডে পাড়ি দেন সুনকরা। ১৯৮০ সালে সাউদাম্পটনে জন্ম ঋষি সুনকের। ইংল্য়ান্ডের রাজনীতিতে পরিচিত মুখ। ব্রিটেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের মন্ত্রিসভায় অর্থমন্ত্রী ছিলেন তিনি। বিলেতে এখন আর্থিক সংকট চরমে। হাল ধরবে কে? ভারতীয় বংশোম্ভুত ঋষি সুনকের উপরই আস্থা রাখল কনজারভেটিভ পার্টি।
কেউ ব্যবসা করেন, তো কেউ আবার চাকরি। একদা যাঁরা এদেশ শাসন করতেন, তাঁদের দেশ ব্রিটেনে এখন ভারতীয়দের সংখ্যাও কিন্তু কম নয়। ঋষি সুনক প্রধানমন্ত্রী হওয়ার খবরে খুশি তাঁরা। লন্ডনের বাসিন্দা, কর্পোরেট কর্তা সৌরভ নিয়োগীর মতে, 'বহু বছর ধরে ভারতীয় বংশোম্ভুত এদেশের কাজ করেছে। ব্রিটেনকে গ্রেট করেছে। এটা তারই একটি স্বীকৃতি'। বললেন, 'ব্রিটেন যে মিশ্র সংস্কৃতির দেশ, সেটা আরও জোরালোভাবে প্রতিষ্ঠিত হল। ঋষি সুনক যখন চ্য়ালেন্সর ছিলেন, তখন ব্রিটেনের মিশ্র সংস্কৃতি রক্ষা উপর বিশেষভাবে জোর দিয়েছিলেন। প্রচার শুরু করেছিলেন যে, শুধুমাত্র ব্রিটেনের বাসিন্দারা নন, বিভিন্ন দেশের লোক এসে এই দেশটা তৈরি করেছে'।
আরও পড়ুন: লেখেন তো, কিন্তু ইংল্যান্ড, গ্রেট ব্রিটেন আর ইউ কে'র মধ্যে কী তফাত আছে জানেন?
ইংল্যান্ডে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করছেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার দিলীপ দোশি। তাঁর প্রতিক্রিয়া, 'এটা খুবই গর্বের ও আনন্দের যে, ভারতীয় বংশোম্ভুত একজন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন'। সঙ্গে যোগ করলেন, 'ঋষি সুনক অত্যন্ত বুদ্ধিদীপ্ত একজন মানুষ। পরিস্থিতি খুবই কঠিন। আমার বিশ্বাস, অর্থনৈতিক সমস্যা সমাধান করতে পারবেন। আশা করি, সবাই ওঁকে সমর্থন করবেন'।
এর আগে, বরিস জনসনের পদত্যাগের পর ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী বেছে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে দেয় ক্ষমতাসীন কনজারভেট পার্টি। শুধু তাই নয়, ভোটাভুটির চূড়ান্ত পর্বে এক নম্বরে ছিলেন ঋষি সুনক, আর দ্বিতীয় স্থানে লিজ় ট্রাস। শেষপর্যন্ত অবশ্য বাজিমাত করেছিলেন লিজ়ই। কিন্তু মাত্র ৪৫ দিনেই প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি।