নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রাণ কেড়েছে ৮০০ জনের বেশি। তার থেকেও বেদনাদায়ক, মানুষের সম্পর্ক চুরমার করে দিয়েছে নোভেল করোনাভাইরাস। আশঙ্কা, ভয়, উদ্বেগ নিয়ে দিন কাটাচ্ছে চিনের মানুষ। উহান, বেজিং শহর কার্যত শুনশান। বাইরে বেরতে ভয় পাচ্ছেন। এই বুঝি বাতাসে মিশে থাকা করোনা শরীরের ভেতরে ঢুকে গেল! হয় ঘরবন্দি, তা নয় বুকে সাহস নিয়ে মাস্ক পরে বেরতো হচ্ছে তাঁদের। কিন্তু ভরসা নেই! সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিয়োয় সেই পরিস্থিতি ফুটে উঠল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মা পেশায় নার্স। করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের চিকিত্সায় নিজেকে নিয়োজিত করেছেন। মাস্ক, শরীরে বিশেষ পোশাক পরে অনেকদিন পর মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে হাসপাতালের বাইরে বেরিয়েছেন। মেয়ের সঙ্গে দেখা তো করলেন, কিন্তু স্পর্শ করতে পারলেন না। কয়েক ফুট দূরত্বে মা-মেয়ে দাঁড়িয়ে শূন্যে আলিঙ্গন করে পরস্পরকে। মেয়েও মাস্ক ও বিশেষ পোশাকে মা-কে দেখতে এসেছে। অনেকদিন পর মা-কে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়ে মেয়ে। মা তাকে সান্ত্বনা দেন, “কেঁদো না, দানবের সঙ্গে লড়াই করছে তোমার মা। যুদ্ধ শেষ করে খুব তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরে আসবে।



আরও পড়ুন- নজিরবিহীন, দেশে প্রথম CAA-বিরোধী প্রস্তাব পাস করল কোনও পুরসভা


সত্যিই যুদ্ধ চলছে। করোনাভাইরাস প্রতিহৃত করতে দিনরাত এক করে দিচ্ছেন চিনের স্বাস্থ্যকর্মীরা। রাতারাতি করা হয়েছে হাসপাতাল। এখনও পর্যন্ত চিনেই কমপক্ষে  ৮০০ জনের মতো মৃত্যু হয়েছে। এই রোগকে মহামারী বলে চিহ্নিত করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। কিন্তু ওই সংস্থার দাবি, ২০০২-০৩ সালে সিভিয়ার অ্যাকুইটি রেসপিরেটরি সিনড্রোম (সার্স)-এর মারণ ছোবলে মৃত্যু হয়েছিল ৭৭৪ জনের। তাকে ছাপিয়ে গেল নোভেল করোনাভাইরাস। এমনটাই দাবি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র।