ওয়েব ডেস্ক:
প্রথমবার পরীক্ষায় বসলেন, ফলাফল-ফেল।
দ্বিতীয়বার পরীক্ষায় বসলেন, ফলাফল-ফেল।
আরও, আরও চেষ্টার পর তৃতীয়বার পরীক্ষায় বসলেন, ফলাফল-ফেল।
চার, পাঁচ, ছয়, সাত, আট, নয়, দশ একটানা দশবার একই পরীক্ষায় ফেল হওয়ার পর শেষ চেষ্টা। 'হয় এবার নয় নেভার'। একাদশতম পরীক্ষায় পাস।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


পরীক্ষার বিষয়-বিমান চালক হওয়ার পরীক্ষা (পাইলট) ছাত্র- এয়ার এশিয়ার অফিস বয়। পরীক্ষা- ১১ বার। ফলাফল- ১০ বার ফেল করে শেষবার পাস। সময়- ৯ বছর।


আজ থেকে ২৩ বছর আগে ৮ বছরের এক ছোট্ট বালক স্বপ্ন দেখেছিল 'সে পাইলট হবে'। স্কুলে বন্ধুরা যখন একে একে বলেছে, 'আমি ডাক্তার হব', 'আমি ইঞ্জিনিয়ার হব', তখনও তাঁর কণ্ঠ কেঁপে ওঠেনি। বরং সোজা মেরুদণ্ড আর দৃপ্ত কণ্ঠে ম্যাডামের প্রশ্নের উত্তরে বলেছিলেন, 'ম্যায় পাইলট বননা চাহাতা হু'। বাবা মায়ের হাত ধরে যখন প্রথমবার মালয়েশিয়ার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পা রেখেছিল সে, বাবাকে বলেছিল, "তুমি দেখো, আমি একদিন ওই আকাশযানের চালক হব"। মধ্যবিত্ত পরিবারের ছোট্ট ছেলের আকাশের পথকে শাসন করার স্বপ্ন সাধ্যির মধ্যে ছিল না। বার বার চেষ্টা করেও হারতে হয়েছে। দমে যায়নি। দীর্ঘ নয় বছরে, এগারো বারের চেষ্টায় সফল ৩১ বছরের কুগান তাঙ্গিসুরান। এয়ার এশিয়া বিমানের সমস্ত ট্রেনিং সম্পন্ন করে এবার বিমান চালাবেন কুগান ।