নিজস্ব প্রতিবেদন- রেকর্ড বলছে, পাকিস্তানের মধ্যে সিন্ধ প্রদেশে গত ১০ বছরে সব থেকে বেশি হিন্দুদের উপর নির্যাতন হয়েছে। হিন্দু মেয়েদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ থেকে শুরু করে ধর্মান্তকরণ, সবকিছুতেই পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশ রেকর্ড করেছে। এমনিতেই পাকিস্তানের সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায় বহুবার নিজেদের পাক সরকারের নির্যাতন ও লাঞ্ছনার শিকার বলে দাবি করেছে। পাকিস্তানে হিন্দু সম্প্রদায়ের একাধিক প্রতিনিধি এই নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেছেন। তবে প্রতিবারই পাকিস্তানের সরকার সেই দাবি নস্যাৎ করেছে। ইমরান খান ক্ষমতায় আসার পর থেকে বলেছিলেন, তিনি নয়া পাকিস্তান গড়বেন। সেই পাকিস্তানে সংখ্যালঘু হিন্দু, খ্রিস্টান, আহমাদিয়া সম্প্রদায়ের ওপর কোনো রকম নির্যাতন হবে না। কিন্তু বাস্তবে হচ্ছে ঠিক তার উল্টো।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের আরো একটি হিন্দু মন্দির ভাঙার ঘটনার খবর পাওয়া গিয়েছে। গতকালই সিন্ধ প্রদেশের কারিও ঘনওয়ার এলাকার সেই রাম মন্দিরটিকে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। তার পর থেকেই পাকিস্তানের সমাজকর্মী ও সংখ্যালঘুদের স্বার্থ রক্ষার জন্য লড়াই করা অনিলা গুলজার দাবি করেছেন, একটা সময় পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশে ৪২৮ টি হিন্দুদের মন্দির ছিল। এখন সেখানে হিন্দু মন্দিরের সংখ্যা কুড়িটিতে এসে ঠেকেছে। গত কয়েক বছরে নির্বিচারে সিন্ধ প্রদেশে হিন্দুদের মন্দির ভাঙার ঘটনা ঘটেছে। কখনো প্রশাসনের নাকের ডগায় হয়েছে। কখনো প্রশাসনিক কর্তারা সব দেখেও চুপচাপ থেকেছেন। অনিলা গুলজার এদিন এমন বর্বরোচিত ঘটনার কড়া ভাষায় নিন্দা করেছেন। 


আরও পড়ুন-  ভারতের উত্তর সীমান্তে ৬০,০০০ সেনা মোতায়েন করেছে চিন, প্রতিবাদে সরব মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র


কিছুদিন আগেও পাকিস্তানের একটি হিন্দু বস্তিতে বুলডোজার নিয়ে গিয়ে কিছু মানুষ বাড়িঘর গুঁড়িয়ে দিয়েছিল। পুরো কর্মকান্ডের সময় দাঁড়িয়ে থেকে কাজের তদারকি করেছিলেন পাকিস্তানের এক মন্ত্রী। তারিক বশির চিমা নামের সেই মন্ত্রীর তত্ত্বাবধানেই হিন্দুদের বাড়ি ভাঙা হয়েছিল বলে অভিযোগ। সেই মন্ত্রী অবশ্য পাল্টা অভিযোগ করেছিলেন, অবৈধভাবে সেই বস্তি নির্মাণ হয়েছিল। তবে পাকিস্তানের  বহওয়ালপুরে হিন্দুদের বস্তিতে থাকা বাড়িঘর ভাঙার ঘটনার সমালোচনা করেছিল পাকিস্তানের মানবাধিকার কমিশন। এমনকী সিন্ধ প্রদেশে হিন্দু পরিবারগুলির উপর অত্যাচার ও নির্যাতনের ব্যাপারেও ভীতি প্রকাশ করেছিল কমিশন। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর একের পর এক আক্রমণ হচ্ছে পাকিস্তানে। ইমরানের সরকার ব্যবস্থা নেওয়ার বদলে দোষীদের আড়াল করছে বলেও অভিযোগ উঠছ।