Climate Change: জলবায়ু পরিবর্তন ও দূষণের জেরে এ বিশ্বের অর্ধেক শিশুই মারাত্মক ভাবে বিপন্ন...
Climate Change: `কিডস রাইটস ইনডেক্স` একমাত্র সূচক, যা বিশ্বের দেশগুলি শিশু অধিকার বিষয়টিকে কতটা সম্মান জানায়, তা মাপে এবং সেই তথ্য প্রকাশ করে। ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গির মতো রোগে ক্ষতিগ্রস্ত ৬০ কোটি শিশু। ৮২ কোটি শিশু তাপপ্রবাহের সংস্পর্শে এসেছে। জলের ঘাটতি ৯২ কোটি শিশুর উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলেছে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: গ্রেটা থুনবার্গ থেকে লেখক অমিতাভ ঘোষ-- পরিবেশ দূষণ ও তার জন্য যে-ক্ষতি তা নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন। তাঁরা তাঁদের সেই উদ্বেগের কথা অন্যদেরও বলেছেন। এ নিয়ে বিভিন্ন স্তরে ইতিবাচক আলোচনা যে হয়নি তা নয়। কিন্তু ভয়ানক দ্রুত বেগে খারাপ হতে থাকা পরিবেশের অবস্থার কি তেমন কোনও শুভ পরিবর্তন এসেছে? না, তা যে তেমন আসেনি, সেটাই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল সাম্প্রতিক একটি রিপোর্ট। রিপোর্টটি বলছে, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত পরিবেশের ক্ষতির কারণে এই মুহূর্তে সারা বিশ্বে প্রায় ১০০ কোটি শিশু ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। 'কিডস রাইটস' একটি অধিকাররক্ষা সংস্থা বুধবার এক প্রতিবেদনে এ নিয়ে সতর্ক করেছে। সংস্থাটি এ-ও জানিয়েছে, গত এক দশকে কম বয়সীদের জীবনযাত্রার মানের তেমন উন্নতিও হয়নি।
রাষ্ট্রসংঘের দেওয়া পরিসংখ্যানের উপর ভিত্তি করে এ বছরের কিডস রাইটস সূচক তৈরি করেছে 'কিডস রাইটস' নামক অধিকাররক্ষা সংস্থা। তাতে বলা হয়েছে, বর্তমানে প্রায় ৮২ কোটি শিশু তাপপ্রবাহের সংস্পর্শে এসেছে। নেদারল্যান্ডসের এই সংস্থাটি বলছে, জলের ঘাটতি বিশ্বব্যাপী ৯২ কোটি শিশুর উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে। ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গির মতো রোগেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৬০ কোটি শিশু, অর্থাৎ, প্রতি ৪ জনে ১ জন!
আরও পড়ুন: Sweden: ক্লাইমেট অ্যাক্টিভিস্টই পরিবেশ মন্ত্রকের দায়িত্বে! সব চেয়ে কম বয়সী মন্ত্রীও...
'কিডস রাইটস ইনডেক্স' একমাত্র সূচক, যা বিশ্বের দেশগুলি শিশু অধিকার বিষয়টিকে কতটা সম্মান জানায়, তা মাপে এবং সেই তথ্য প্রকাশ করে। শিশু অধিকার খুব কম দেশেই বাস্তবায়িত হয়। আর এই শিশু অধিকার বাস্তবায়নের সূচকের উপরের দিকে রয়েছে আইসল্যান্ড, সুইডেন, ফিনল্যান্ড। ১৮৫টি দেশের মধ্যে নীচের দিকে রয়েছে সিয়েরা লিওন, আফগানিস্তান ও চাদ। সূচকে শীর্ষ তিনে থাকা দেশগুলির মধ্যে আগের বছরের চেয়ে শুধু সুইডেনের অবস্থান পরিবর্তিত হয়েছে। চতুর্থ থেকে দেশটি দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে অ্যাঙ্গোলা ও বাংলাদেশের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তুলে ধরা হয়। এতে বলা হয়, শিশু অধিকারের বিষয়ে স্কোরে লক্ষণীয় অগ্রগতি করেছে দেশ দুটি। গত দু'দশকের মধ্যে এই প্রথম শিশু শ্রমিকের সংখ্যা ১৬ কোটিতে গিয়ে ঠেকল। কিডস রাইটস সূচক বলছে, গত ৪ বছরে শিশু শ্রমিকের সংখ্যা ৮৪ লাখ বেড়েছে।
কিডস রাইটসের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান মার্ক ডুলার্ট এই বছরের প্রতিবেদনকে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের শিশুদের জন্য উদ্বেগজনক বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, দ্রুত পরিবর্তন হওয়া জলবায়ু শিশুদের ভবিষ্যৎ ও তাদের মৌলিক অধিকারকে হুমকির মধ্যে ফেলেছে।