জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: তাঁর নাম জুলিয়া মানাক। ঠিকানা ইতালির পিয়াসোনা দ্বীপ। একসময় এই দ্বীপটিকে কারাগার হিসেবে ব্যবহার করা হতো। এখন এটি অপরাধীদের পুনর্বাসন কেন্দ্র। এমনই ওই দ্বীপে থাকেন জুলিয়া। তাহলে জুলিয়াও কি অপরাধী? না, তাঁর জীবনকাহিনী বলছে অন্য গল্প।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-এবার 'ভুতুড়ে' চাকরির সন্ধান দিল খোদ SSC-ই!


২০১১ সালে ওই দ্বীপে প্রথমবার পা রাখেন জুলিয়া। ওঠেন সৈকতের একটি হোটেল। ঠিক করেন কিছুদিন ওই দ্বীপে থাকবেন। তারপর ফিরে যাবেন। কিন্তু কয়েক দিনের মধ্যেই তাঁর সিদ্ধান্ত একেবারেই বদলে যায়। দ্বীপটির স্থায়ী বাসিন্দা হয়ে গেলেন জুলিয়া।


হোটেলটি দেখাশোন করতেন সাজাপ্রাপ্ত আসামীরা। বর্তমানে সেই হোটেলটির দেখাশোনা ও দ্বীপে অপরাধীদের পুনর্বাসন কর্মসূচি দেখাশোনা করেন। সংবাদমাধ্যমে জুলিয়া জানিয়েছেন, দ্বীপে অসাধারণ একটা ছুটি কাটিয়েছিলাম। অপরাধীদের পুনর্বাসন প্রকল্প দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। বন্দিরা দ্বিতীয়বার বাঁচার সুযোগ পায় এখানে। সবকিছু দেখে দ্বীপের প্রেমে পড়ে যাই। এখানকার তারকাখচিত আকাশ, অসীম জলরাশি সবকিছু প্রেমে পড়ে যাই।


ইতালিরা এই দ্বীপটি একসময় শয়তানের দ্বীপ হিসেবে নাম করেছিল। সেই দ্বীপেই থাকছেন জুলিয়া। এখন সেটি বহু পর্যটকের গন্তব্য পরিণত হয়েছে। দ্বীপটিতে স্থায়ী বাসিন্দাদের মধ্যে জুলিয়া ছাড়াও রয়েছেন একজন কারারক্ষী ও ১০ সাজাপ্রাপ্ত আসামী।


যে বছর দ্বীপে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন সেইসময় হোটেলের কর্মীরা তাঁকে বলেন, আর্থিক সমস্যায় ভুগছে হোটেলটি। তেমনটা হলে হোটেলের ক্রমীদের ফেল কারাগারে ফেরত পাঠাতে হবে। ওই কথা শুনেই হোটেল কর্মীদের দায়ীত্ব নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন জুলিয়া। হোটলটিকে তিনি প্রথমে জন্মদিন ও বিয়ের পার্টির জন্য ভাড়া দিতে থাকেন। তাতেই পরিস্থিতি বদলে যায়। সপ্তাহে একদিন দেশে যান জুলিয়া। কাজ শেষে ফেরে ফিরে আসেন পিয়সোনায়। অপরাধীরাই এখন হোটেল চালান। সবকিছুই চলছে ঠিকঠাক।


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)