নিজস্ব প্রতিবেদন:  বিশ্ববাণিজ্য কেন্দ্রে হামলার ছক কষায় দুনিয়ার ভয়ঙ্করতম জঙ্গির তকমা পেয়েছিল ওসামা বিন লাদেন। দুনিয়াজুড়ে আল কায়দার ‌যে নেটওয়ার্ক তার মাথা হিসেবে মনে করা হয় ওই সাড়ে ছ’ফুট লম্বা সৌদিকে। কোনও মাদ্রাসায় পড়া কট্টরপন্থী নয় বরং সাধারণ শিক্ষায় উচ্চশিক্ষিত ওসামা হয়ে উঠেছিল দুনিয়ার আতঙ্ক। কিন্তু ছেলে সম্পর্কে কী বললেন ওসামার মা আলিয়া ঘানেম?


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সম্প্রতি এক ব্রিটিশ দৈনিককে সাক্ষাতকার দিয়েছেন ওসামা বিন লাদেনের মা আলিয়া ঘানেম। এখন তিনি থাকেন সৌদিতে। ওসামার বাবার সঙ্গে বহুদিন আগেই বিচ্ছেদ হয়েছে। এখান জেদ্দায় থাকেন দ্বিতীয় স্বামীর সঙ্গে। ওসামাকে বড় করেছিলেন ওই দ্বিতীয় স্বামীই।


আরও পড়ুন-বিহারের মেয়ে-বরাহনগরের ছেলে, নাছোড় প্রেমের কাছে হার মানল জাতপাতের চোখরাঙানি


নিজের কুখ্যাত সন্তানকে নিয়ে এতদিন কোনও কথাই শোনা ‌যায়নি তাঁর মুখ থেকে। এবার তিনি সাংবাদ মাধ্যমের সামনে এলেন। ছেলে সম্পর্কে বলতে গিয়ে ওসামার ভালো দিকটাই তুলে ধরেছেন আলিয়া ঘানেম। জানিয়েছেন ওসামা খুব ভালো ছেলে ছিল। কিন্তু তার মগজধোলাই করা হয়েছিল।


সিরিয়ায় জন্ম আলিয়ার। সৌদিতে আসেন পঞ্চাশের দশকের মাঝামাঝি সময়ে। ১৯৫৭ সালে ওসামার জন্ম। বিয়ের তিন বছরের মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়ে ‌যায় ওসামার বাবা মহম্মদ বিন আওয়াদ বিন লাদেনের সঙ্গে।


ওসামা সম্পর্কে বলতে গিয়ে আলিয়া ওই ব্রিটিশ দৈনিককে জানিয়েছেন, বিশ্ববাণিজ্য কেন্দ্রে হামলার সঙ্গে ওয়ামার নাম জড়ানোর লাদের পরিবারের নামে কালি লেগেছে। তবে ছোটবেলা থেকেই ওসামা খুবই ভালো মানুষ ছিল। পড়াশোনাতেও বেশ ভালো ছিল। কিন্তু সমস্যা হল জেদ্দার কিং আব্দুলআজিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে গিয়েই। ওখানে গিয়ে ও জিহাদিদের খপ্পরে পড়ল। ওর মগজ ধোলাই করা হল।


আরও পড়ুন-বর্ষার দাপট বাড়তেই ডেঙ্গি ফিরল বঙ্গে


ছেলেকে এখনও খুব ভালোবাসেন আলিয়া। জানিয়েছেন ওসামার সৎ ভাই আহমেদ। বিশ্ব বাণিজ্যকেন্দ্রে হামালায় ‌যে ওসামা জড়িত তা এখনও ‌যেন মানতে পারেন না আলিয়া।


উল্লেখ্য, বিশ্ববাণিজ্য কেন্দ্রে হামলায় নাম জড়ানোর পরই গায়েব হয়ে ‌যায় লাদেন। মার্কিন গোয়েন্দারা সন্দেহ করেন আফগান্স্থিানের তোরাবোরা পাহাড়ের কোনও গুহাতেই ডেরা পেতেছে লাদেন। পাহাড়ে বিভিন্ন গুহা লক্ষ করে বোমা ফেলে মার্কিন বাহিনী। তাতেও লাদেনের কোনও হদিশ পাওয়া ‌যায়নি। অবশেষে তার খোঁজ মেলে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে। সেখানে একটি নির্জন ঘরে বহুদিন ধরেই লুকিয়ে ছিল লাদেন। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। মার্কিন নেভি সিল-রা তাকে গুলি করে মৃতদেহ নিয়ে চলে ‌যায়। মনে করা হয় পাকিস্তান সরকারের সঙ্গে ‌যোগসাজসেই লাদেনকে ধরে ফেলে মার্কিন গোয়েন্দারা।