নিজস্ব প্রতিবেদন: অভিধানের জগতেও নারীর ক্ষমতায়ন। স্বীকৃতি দিল অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। নিজেদের অভিধানে 'নারী' শব্দটির এতদিন ধরে চলে আসা সংজ্ঞা বদলে দিল। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

অবশ্য এই ঘটনার একটি প্রেক্ষিত আছে। অক্সফোর্ডের অভিধানে 'উওম্যান' শব্দের সমার্থক শব্দ হিসেবে অন্যান্য শব্দের সঙ্গে রাখা হয়েছিল-- 'বিচ', 'বিন্ট', 'ওয়েনচ'-এর মতো কিছু শব্দও। যা নিয়ে একদল ঘোর আপত্তি তুলেছিল। আপত্তিটি লিঙ্গবৈষম্যমূলক। মেয়েদের পক্ষে অবমাননাকর। বিষয়টি আইন-আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছিল।


এ বছরের নিজেদের অভিধানের পরিমার্জিত ও পরিবর্ধিত নতুন সংস্করণে অক্সফোর্ড তাই বিষয়টি শুধরে নিল। 'উওম্যান' শব্দের প্রতিশব্দ হিসেবে আর ওই বিতর্কিত শব্দগুলিকে রাখেনি তারা। শব্দার্থে বিন্দুমাত্র লিঙ্গবৈষম্যের ছায়া জড়িয়ে থাকে, এমন শব্দ তারা সযত্নে বর্জন করেছে। 'নারী' শব্দের সঙ্গে এতদিন যৌন আকর্ষণ বা যৌনতাবাচক যে অনুষঙ্গ জড়িয়ে থাকত, বিতর্কের মুখে জল ঢালতে সেটাও সরিয়ে দিয়েছে অক্সফোর্ড। মেয়েদের পক্ষে অবমাননাকর হয়ে দাঁড়ায়, এমন শব্দ পরিহার করার দিকেই মূলত লক্ষ্য ছিল তাদের। 'ট্রান্সজেন্ডার উওম্যান' বা 'লেসবিয়ান উওম্যান' শব্দগুলির অর্থ নির্ধারণের ক্ষেত্রেও যথোচিত সতর্ক থেকেছে অভিধান কর্তৃপক্ষ।


যাঁরা গত বছর থেকেই বিষয়টি নিয়ে সংগঠিত আপত্তি জানিয়ে আসছেন, স্পষ্টতই তাঁরা এতে খুশি। তবে শুধু নিজেদের জয়ের জন্যই যে তাঁরা খুশি হয়ে উঠেছেন, তা নয়। নারীর মর্যাদার পক্ষে হানিকারক পরিস্থিতির বদলের জন্যই বরং বেশি উল্লসিত তাঁরা। 


আরও পড়ুন:  কোভিড মোকাবিলা টাস্ক ফোর্সের জন্য বাইডেন বেছে নিতে পারেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ডাক্তারকে