ওয়েব ডেস্ক : আন্তর্জাতিক আদালনতে মান খুইয়েছে পাকিস্তান। মান্যতা পেয়েছে ভারতের দাবি। আর তারপর পাক ভূখণ্ডের ভিতরেই আওয়াজ উঠেছে কুলভূষণের হয়ে। ভারতের হয়ে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পাকিস্তানের দাবি, ২০১৬-র ৩ মার্চ বালোচিস্তান থেকে কুলভূষণ যাদবকে গ্রেফতার করা হয়। ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা RAW-এর হয়ে চরবৃত্তি ও পাক মাটিতে সন্ত্রাস ছড়ানোর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ভারতীয় নৌসেনার সার্ভিং কম্যান্ডার কুলভূষণ যাদব। সে দাবি বারবারই খারিজ করে দেয় ভারত। সাফ জানিয়ে দেয়, কুলভূষণ ভারতীয় নৌসেনার একজন অবসরপ্রাপ্ত অফিসার। ইরান থেকে সম্ভবত অপহরণ করা হয় তাঁকে। গুপ্তচরবৃত্তির সঙ্গে তাঁর যোগসাজশের অভিযোগ ভিত্তিহীন। ২০১৭-র ১০ এপ্রিল, বিচারে কুলভূষণকে মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দেয় পাক সেনা আদালত।


এই একবছর সময়কালে ভারতের পক্ষ থেকে ১৬ বার কুলভূষণের সঙ্গে দেখা করার দাবি জানানো হলেও, তাতে সাড়া দেয়নি পাকিস্তান। এরপরই মৃত্যুদণ্ড রদের আবদেন নিয়ে ও ভিয়েনা চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগে আন্তর্জাতিক আদালতের দ্বারস্থ হয় ভারত। ৮ মে হয় শুনানি। কুলভূষণ ইস্যুতে ১৮ বছর পর আবার আন্তর্জাতিক আদালতে মুখোমুখি হয় দুই প্রতিবেশী দেশ। গতকাল, ১৮ মে, প্রাথমিক রায় শুনিয়েছে ICJ।


রায়ে ভারতেরই জয় হয়েছে। জেলে গিয়ে কুলভূষণের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়ার জন্য ভারতের দাবিকে "যুক্তিগ্রাহ্য" বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর তারপরই 'ভারতের হয়ে' আওয়াজ উঠল পাক ভূ-খণ্ডের মাটিতেই। কেন ভারতকে কুলভূষণের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হবে না? প্রশ্ন তুললেন পাক নাগরিক থেকে সমাজকর্মীরাই। প্রথম থেকেই কুলভূষণের সঙ্গে ভারতীয় প্রতিনিধিদের দেখা করতে দেওয়া উচিত ছিল বলে, দাবি করেছেন পাক আইনজীবীদের একাংশ। পাকিস্তানের এই আচরণের ফলে ভারতীয় জেলে বন্দি পাক নাগরিকরা 'বিপদে' পড়তে পারে বলেও, আশঙ্কা তাঁদের। খবর সংবাদমাধ্যম 'ডন' সূত্রে।


আরও পড়ুন, '১ টাকা' খরচ করে আন্তর্জাতিক আদালতে জয় পেল ভারত