Pakistan Flood: পাকিস্তান যেন এক বিপুল সমুদ্র! জলবায়ু পরিবর্তনই কি সংকটের কারণ...
পাকিস্তানের জলবায়ু মন্ত্রী বলেছেন, আক্ষরিক অর্থে পাকিস্তানের এক-তৃতীয়াংশ এই মুহূর্তে জলের নীচে। এই বিপর্যয় অতীতের প্রতিটি রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। আমরা এর আগে কখনও এমন পরিস্থিতি দেখিনি!
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: পাকিস্তানে এই মাত্রার বন্যা কখনও হয়নি! এই প্রাকৃতিক দুর্যোগকে প্রায় নজিরবিহীন বলা হচ্ছে। বলা হচ্ছে ঐতিহাসিক। নজিরবিহীন ঐতিহাসিক এবং ভয়াবহ সেই বন্যায় বিপর্যস্ত গোটা পাকিস্তান। পাকিস্তানের এক-তৃতীয়াংশ এলাকা সম্পূর্ণ জলের তলায় তলিয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। দেশটির জলবায়ু মন্ত্রী এই তথ্য জানিয়েছেন। বিধ্বংসী ও আকস্মিক এই বন্যায় পাকিস্তানে ভেসে গেছে রাস্তা, বাড়িঘর, নষ্ট হয়েছে ফসল। সব মিলিয়ে বিপর্যয়ের মুখে পড়েছেন পাকিস্তানের বেলুচিস্তান, সিন্ধু, পাঞ্জাব (দক্ষিণ) ও খাইবার প্রদেশের বন্যাকবলিত লক্ষ লক্ষ মানুষ। এলাকার বাসিন্দারা নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে বসতবাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছেন, এখনও যাচ্ছেন। বিপর্যয় সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে পাক সরকার। এ পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সহায়তার জন্য হাত বাড়িয়েছে পাকিস্তান। কদিন আগেই সে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাহায্য আহ্বান করেছে।
পাক জলবায়ু মন্ত্রী শেরি রেহমান বলেন, দেশটি যেন এক বিশাল সমুদ্রে পরিণত! জল সেচে ফেলার জন্যও কোনো শুকনো জমি নেই। তিনি একে অকল্পনীয় এক সংকট হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এ বছরের জুন মাসে পাকিস্তানে বর্ষা শুরু হয়েছিল। তার পর থেকে এখনও পর্যন্ত সেখানে অতি বৃষ্টি ও তার জেরে বন্যায় ১১৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত এক দশকের মধ্যে দেশটিতে এত ভারী বর্ষণ কখনও হয়নি। এ বিপর্যয়ের জন্য জলবায়ু পরিবর্তনকেই দায়ী করছে পাক সরকার। শেরি রেহমান আরও বলেন, আক্ষরিক অর্থে পাকিস্তানের এক-তৃতীয়াংশ এই মুহূর্তে জলের নীচে। এই বিপর্যয় অতীতের প্রতিটি রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। আমরা এর আগে কখনও এমন পরিস্থিতি দেখিনি।
পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চলে সোয়াত উপত্যকায় বন্যায় ব্রিজ ও রাস্তা ভেসে গেছে। গ্রামগুলি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। পাহাড়ি এলাকায় বসবাসকারী হাজার হাজার মানুষকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হেলিকপ্টারের সাহায্য নিয়েও কর্তৃপক্ষ এখনও আটকে পড়া মানুষজনের কাছে পৌঁছতে হিমশিম খাচ্ছে।
সোমবার পাকিস্তানের কর্মকর্তারা বলেছেন, বন্যার কারণে গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর ঘটনা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো-জারদারি বলেছেন, নিহতদের এক-তৃতীয়াংশ শিশু বলে ধারণা করা হচ্ছে। আমরা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয়ের চেষ্টা করছি। তাঁদের ধারণা, তিন কোটি ৩০ লাখেরও বেশি পাকিস্তানি নাগরিক ঐতিহাসিক এই বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন!