নিজস্ব প্রতিবেদন- পাকিস্তানে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর নির্যাতনের অভিযোগ বহু পুরনো। ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার পর নতুন পাকিস্তান গড়ার ডাক দিয়েছিলেন। যে পাকিস্তানে হিন্দুদের উপর অত্যাচার হবে না। এমনকী কট্টরপন্থীরা মন্দির ভাঙচুর করবে না। কিন্তু বাস্তবে সেসব কিছুই হয়নি। পাকিস্তান আছে পাকিস্তানেই। হিন্দুদের প্রতি অত্যাচারের মাত্রা একই আছে। পাকিস্তানের প্রায় সব প্রদেশেই গত কয়েক মাসে মন্দির ভাঙার ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। তবে ইমরান খান এসব অভিযোগ উড়িয়েছেন বারবার। তাঁর দাবি, পাকিস্তানে সংখ্যালঘু হিন্দুরা ভালই আছেন। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

হাজারো অভিযোগের মাঝেই পাকিস্তানে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষদের দীপাবলির শুভেচ্ছা জানিয়ে বিতর্ক কিছুটা চাপা দেওয়ার চেষ্টা করলেন ইইমরান খান। এদিন টুই করে পাক প্রধানমন্ত্রী লেখেন, ''পাকিস্তানের সমস্ত হিন্দু নাগরিকদের দিওয়ালির শুভেচ্ছা জানাই।'' পরিসংখ্যান বলছে, পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশে সব থেকে বেশি সংখ্যক হিন্দু পরিবর বাস করে। গোটা পাকিস্তানে হিন্দু জনসংখ্যা ৭৫ লাখ। এটা সরকারি হিসাব। তবে বেসরকারি হিসাব বলছে, ইমরানের দেশে হিন্দুদের সংখ্যা প্রায় এক কোটির কাছাকাছি। ইসলামাবাদ, লাহোর থেকে শুরু করে পাকিস্তানের সব শহরেই হিন্দুরা ছড়িয়ে রয়েছেন।


আরও পড়ুন-  সুর বদল হচ্ছে এবার, হোয়াইট হাউস ছেড়ে যাওয়ার ইঙ্গিত ট্রাম্পের মুখে


ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে সংখ্যালঘু হিন্দুদের মৌলিক অধিকার রক্ষার আবেদন জানিয়েছিলেন। ব্রিটিশ পার্লামেন্টে বক্তব্য রাখার সময় পাকিস্তানের হিন্দুদের উপর হওয়া নির্যাতনের প্রতিবদ করেন তিনি। দিনকয়েক আগে জেনিভার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘ইউএন ওয়াচ’-এর তরফেও পাকিস্তানে হিন্দুদের উপর অত্যাচারের রেকর্ড তুলে ধরা হয়েছিল। এই সংগঠন রাষ্ট্রসংঘের হয়ে কাজ করে। তারা দাবি করেছিল, পাকিস্তানে হিন্দুদের মানবাধিকার খর্ব হচ্ছে বহু বছর ধরে। আর এই ব্যাপারে পাক সরকার উদাসীন। বেশ কিছু ক্ষেত্রে সরকারের মদতেই হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষদের উপর অত্যাচার চালানো হচ্ছে বলেও জানায় এই সংগঠন।