নিজস্ব প্রতিবেদন: বালাকোটের পালটা জবাব দিতে গিয়ে নিজের নাক কেটে পরের যাত্রাভঙ্গের মতো অবস্থা হওয়ার কথা এখনও ভুলতে পারেনি পাকিস্তান। আন্তর্জাতিক মহলে ভারতের ব্যর্থতা তুলে ধরতে একাধিক প্রমাণ দেওয়ার চেষ্টা করেছে। কিন্তু ততবারই মুখ পুড়েছে তাদের। এবার পাক সেনা মুখপাত্র মেজর জেনারেল আসিফ গফুর টুইটে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে দাবি করেন, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি দুই দেশের যুদ্ধবিমান লড়াইয়ে ভারতের ব্যর্থতা নিয়ে মুখ খুলেছেন অবসরপ্রাপ্ত আইএফ এয়ার মার্শাল ডেনজ়িল কেলোর। ইনসেটে উইং কম্যান্ডার অভিনন্দনের ছবি-সহ যুদ্ধ বিমানের ধ্বংসাবশেষের ফুটেজ জুড়ে দেওয়া হয়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


ভিডিয়ো সমেত টুইট পোস্ট হতেই নেটিজেনরাই সেই ভুল ধরিয়ে দেন। এর জন্য ভারতের তরফে সরকারি বিবৃতি দেওয়ার প্রয়োজন হয়নি। ফ্যাক্ট চেক করে দেখা গিয়েছে, অবসরপ্রাপ্ত বায়ুসেনার এয়ার মার্শাল ডেনজ়িল কেলোরের ওই সাক্ষাত্কারটি ২০১৫ সালে। ‘নেহরু লস্ট ইন্ডিয়া দ্য ওয়ার: এয়ার মার্শাল ডেনজ়িল কেলোর স্পিকস অ্যাবাউট ইন্ডিয়া’স ব্যাটেল লসেস’ নামে ওই ভিডিয়োটি ইউটিউবের ওয়াইল্ডারনেস ফিল্মস ইন্ডিয়া নামে প্রোফাইলে পাওয়া যাবে।



আরও পড়ুন- বিজেপিতে ইমরান-আসারাম-রামরহিম! তাঁদের সদস্যপদের কার্ড দেখে তাজ্জব খোদ গেরুয়া শিবির


উল্লেখ্য ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান নিয়ে ডেনজ়িল কেলোর মন্তব্য করেছিলেন। ওই মন্তব্যের সঙ্গে আসিফ গফুর জুড়ে দেন বালাকোটের পরবর্তী হামলার ঘটনা। পুলওয়ামা হামলার জবাবে চলতি বছরে ২৬ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের বালাকোটে হামলা চালায় ভারতীয় বায়ুসেনা। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় জইশের জঙ্গি ঘাঁটি। জবাবে পাকিস্তান সীমান্ত রেখা পেরিয়ে এফ-১৬ নিয়ে হামলা চালায়। তবে, বায়ুসেনার তত্পরতায় পিছু হটে পাক যুদ্ধবিমান। উইং কম্যান্ডার অভিনন্দন তাড়া করে একটি এফ১৬ নীচে নামান। পাকিস্তান ঘোষণা করে, অভিনন্দন-সহ আরও এক অফিসারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরে জানা যায় ওই অফিসার পাক এফ-১৬ এর পাইলট। পাকিস্তান নাগরিকের বেধড়ক পেটানিতে মৃত্যু হয় তাঁর।