নিজস্ব প্রতিবেদন: শত আটকানোর চেষ্টা করেও নোভেল করোনাভাইরাসের থাবা পড়ল পাকিস্তানে। দুই পাক নাগরিক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বলে সরকারিভাবে জানিয়েছে পাক স্বাস্থ্যমন্ত্রক। ইমরান খানের সরকারের এক স্বাস্থ্যকর্তা জানিয়েছেন, দুই জনের রক্তে করোনাভাইরাসের জীবাণু মিলেছে। তাদের চিকিত্সার জন্য সব রকমের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বলেও দাবি ডক্টর জা়ফর মিরজা বলে ওই স্বাস্থকর্তার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সিন্ধ সরকারের স্বাস্থ্য এবং জনকল্যাণ মন্ত্রী মীরান ইউসুফ জানান, করোনা আক্রান্ত একজন ইরান থেকে করাচিতে আসেন। মনে করা হচ্ছে, সেখানেই আক্রান্ত হন তিনি। গত ২০ ফেব্রুয়ারি ইরান থেকে করাচি পৌঁছয় ওই ব্যক্তি। করোনা আক্রান্ত সন্দেহে তড়িঘড়ি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিমানবন্দরে বাড়তি সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। আফগানিস্তান থেকে আসা যাত্রীদেরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে বলে খবর।


উল্লেখ্য, জানুয়ারি মাসে চিনের হুয়ান প্রদেশে আটকে পড়েছিল বেশ কিছু পাক পড়ুয়া। ভারত যখন করোনার আঁতুড়ঘর থেকে নাগরিকদের বের করে নিয়ে আসছিল, সে সময় পাক পড়ুয়াদের কাতর আর্জি ছিল, পাকিস্তানও উদ্ধার করে নিয়ে যাক তাদের। ইমরান সরকারের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, করোনা মোকাবিলার মতো পরিকাঠামো না থাকায় তাদের দেশের ফেরানো সম্ভব নয়। আক্রান্ত হলে চিনেই তাদের চিকিত্সা চলবে। পাকিস্তানের এই সিদ্ধান্তে সমালোচনার ঝড় ওঠে বিশ্বজুড়ে।


আরও পড়ুন- মাত্র ৯ দিনে গলে গেল আন্টার্কটিকার ২০ শতাংশ বরফ, ভয়াবহ দিন আসছে! 


নতুন করে আরও কয়েকটি দেশে করোনা থাবা বসিয়েছে। খোদ ইরানের ডেপুটি স্বাস্থ্যমন্ত্রী হরিরচি জানান, তিনি নোভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। ইরানে করোনা আক্রান্তে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ১৫ জনের। ৯৫ জন আক্রান্ত বলে খবর মিলেছে। চিনের পরই ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে ইরানে। তবে, চিনে এই মুহূর্তে প্রতিদিন গড়ে করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন ৪০০-র বেশি। গড়ে মৃত্যু ৫০ জন। বুধবার যে মৃত্যুর খবর মিলেছে তাতে গত ২৮ জানুয়ারির পর এ দিন গড় মৃত্যুর হার সবচেয়ে কম ছিল। মঙ্গলবারে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৫২। গতকাল তা কমে দাঁড়িয়েছে ২৯। তবে, আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। গত ২৬ জানুয়ারিই নতুন করে আক্রান্ত হন ৪৩৩ জন। এখনও পর্যন্ত চিনে মোট আক্রান্ত ৭৮ হাজার ছাড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ২,৭৪৪ জন।