নিজস্ব প্রতিবেদন : ৩৩ বছর বয়সী এক শিক্ষককে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হল পাকিস্তানে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এই রায়কে চরম হতাশাজনক বলে বিস্ময় প্রকাশ করেছে। তারা জানিয়েছে, ২০১৯ সালে দাঁড়িয়ে এমন রায় ন্যায়বিচার নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেয়। জুনায়েদ হাফিজ নামের সেই শিক্ষক পাকিস্তানের মুলতানের বাহাউদ্দিন জাকারিয়া ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষকতা করতেন। আমেরিকান সাহিত্য, আলোকচিত্র ও থিয়েটার বিষয়ে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করেছেন। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হজরত মহম্মদকে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য পোস্ট করেছিলেন হাফিজ। আদালত অবশ্য জানিয়েছে, তাঁর বিরুদ্ধে তিনটি অভিযোগ ছিল। একটি মামলায় ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয় তাঁকে। অন্যটিতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। তৃতীয় অভিযোগের জন্য আদালত তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। হাফিজের পক্ষে মামলা লড়তে রাজি হয়েছিলেন রশিদ রেহমান নামে এক আইনজীবী। তাঁকেও কেউ বা কারা গুলি করে হত্যা করে। গ্রেফতারের পর জেলে একাধিকবার হাফিজের উপর অন্য বন্দিরা হামলা চালিয়েছিল। এর পরই মুলতানের একটি কারাগারে স্থানান্তরিত করা হয় তাঁকে।


আরও পড়ুন-  ৪৩ বছর পর প্রধানমন্ত্রী পেল ফিদেল কাস্ত্রোর দেশ


এর আগে পাকিস্তানে ধর্মের অবমাননা (ব্লাসফেমি)-র জন্য আয়শা বিবি  নামে এক খ্রিষ্টান মহিলাকে মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দেয় আদালত। যা নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। আট বছর কারাগারে ছিলেন আয়শা বিবি। তার পর পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তিনি মুক্তি পান। কিন্তু তিনি মুক্তি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিক্ষোভে উত্তাল হয় পাকিস্তান। এর পর দেশ ছাড়তে বাধ্য হন আয়েশা বিবি। ধর্মের অবমাননার জন্য পাকিস্তানে এখন ৪০ জন ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। তাঁরা সবাই কারাগারে বন্দি অবস্থায় রয়েছেন।