নিজস্ব প্রতিবেদন: পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ঢুকে একের পর এক জইশের জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করে এসেছে ভারতের বায়ুসেনা। তারপরই ঘুম উড়েছে পাকিস্তানের। তড়িঘড়ি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির বৈঠকে উপস্থিত ছিল পাক সেনা প্রধান কামার জাভেদ বাজোয়া, বিদেশমন্ত্রী শাহ মামুদ কুরেশি, প্রতিরক্ষামন্ত্রকের উচ্চ পদস্থ কর্তা-সহ একাধিক আমলা। পাক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে, সীমান্ত লঙ্ঘন করে ভারতে যে হামলা চালিয়েছে, তা আন্তর্জাতিক মঞ্চে তুলে ধরবে পাকিস্তান। অর্গানাইজেন অব ইসলামিক কোঅপারেশন (ওআইসি), রাষ্ট্রসঙ্ঘ এবং মিত্র দেশগুলির কাছে অভিযোগ জানাবে ইমরানের সরকার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- সার্জিক্যাল স্ট্রাইক ২: ভারতের হাতে মার খেয়ে দিশেহারা পাকিস্তান, ডাকল জরুরি বৈঠক


সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ওই বৈঠকে সদস্যদের পাকিস্তান বায়ু সেনার (পিএএফ) প্রস্তুতি সম্পর্কে অবগত করেছেন বিদেশমন্ত্রী কুরেশি। এমনকি সেনার তরফেও কী প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে তা নিয়ে সবিস্তারে আলোচনা হয়েছে ওই বৈঠকে। সূত্রে খবর, সেনা কর্তৃপক্ষের তরফে বলা হয়েছে, ভূমি এবং আকাশসীমা সুরক্ষিত করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বৈঠকে অংশগ্রহণ করার আগে পাক বিদেশমন্ত্রী সংবাদমাধ্যমে বলেন, পাকিস্তানেরও অধিকার রয়েছে আত্মরক্ষার তাগিদে জবাব দেওয়ার।


আরও পড়ুন- ‘আমরা একটা পরমাণু বোমা ফেললে ভারত ২০টি বোমা মেরে উড়িয়ে দেবে’, ইমরানকে হুঁশিয়ারি মুশারফের


পাক সংবাদমাধ্যম ডন সূত্রে খবর, বালাকোটের কাছে জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংসের ভারত যে দাবি, তা খারিজ করা হয় ওই জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির বৈঠকে। উল্লেখ্য, বায়ুসেনা সূত্রের খবর, মঙ্গলবার ভোর রাতে ভারতীয় বায়ুসেনার হিন্ডন এয়ারবেস থেকে আকাশে ওড়ে ১২টি মিরাজ ২০০০ জঙ্গিবিমান। ভোর সওয়া তিনটে নাগাদ পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৩টি জায়গায় প্রায় ১০০০ কেজি বোমা ফেলে তারা। ধুলোয় মিশিয়ে দেওয়া হয় বালাকোট, মুজফ্ফরাবাদ ও চকৌটিতে জঙ্গি শিবিরগুলি। ২০ মিনিটের মধ্যে অপারেশন শেষ করে ভারতে ফেরে বিমানগুলি। এই হামলায় জইশ-ই-মহম্মদের ঘাঁটি সহ বহু জঙ্গিশিবির গুঁড়িয়ে দিয়েছে বায়ুসেনা।