নিজস্ব প্রতিবেদন: নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাত-উদ-দাওয়ায় কয়েকশো কোটি টাকা ব্যয় করে পাকিস্তান! হ্যাঁ, এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য শোনা গেল খোদ ইমরান খানের ক্যাবিনেট মন্ত্রীর মুখে। পাক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে সে দেশের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী ব্রিগেডিয়ার (অবসরপ্রাপ্ত) ইজ়াজ় আহমেদ শাহ বলেন, মূলস্রোতে ফেরানোর জন্য নিষিদ্ধ জঙ্গিসংগঠন জামাত-উদ-দাওয়ায় কয়েকশো কোটি টাকা ব্যয় করা হচ্ছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


উল্লেখ্য, জুলাইয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়ে পাক প্রধামন্ত্রী ইমরান খান বলেছিলেন, ৩০ থেকে ৪০ হাজার জঙ্গিকে আফগানিস্তান এবং কাশ্মীর সীমান্তে সামরিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। কাশ্মীর নিয়ে ইজ়াজ় আহমেদ বলেন, “আন্তর্জাতিক মহলে মানুষ আমাদের উপর বিশ্বাস করেন না। আমরা বারবার বলেছি কাশ্মীরে ভারত কার্ফু জারি করেছে। সেখানে পর্যাপ্ত ওষুধ মিলছে না, মানুষকে মারা হচ্ছে, খাবার নেই...কিন্তু এ সব বললে কেউ বিশ্বাস করবে না।” তাঁর কথায়, ভারতকে বেশি বিশ্বাস করে আন্তর্জাতিক মহল। এর জন্য ইজ়াজ় কাঠগড়ায় দাঁড় করান পূর্বসূরী প্রধানমন্ত্রীদের। বলেন, তাঁরা দেশের নাম এবং ভাবমূর্তিকে ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছে। মানুষ পাকিস্তানকে দায়িত্বশীল দেশ বলে মনে করে না। আমরা হেরে গিয়েছি।


আরও পড়ুন- আদালত আমাদের হাতে বলায় বিজেপি বিধায়ককে কড়া ভর্তসনা সুপ্রিম কোর্টের


উল্লেখ্য, কাশ্মীর নিয়ে বাস্তবে আন্তর্জাতিক মহলে কোণঠাসা পাকিস্তান। চিন ছাড়া সেভাবে কাউকে পাশে পায়নি পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। মঙ্গলবার রাষ্ট্রসঙ্ঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে পাক বিদেশমন্ত্রী দাবি করেছিলেন, জম্মু-কাশ্মীরকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় জেলখানায় পরিণত করা হয়েছে। কাশ্মীরিদের মানবাধিকার লুন্ঠন করা হয়েছে। কিন্তু রাশিয়া, ব্রিটেন, আমেরিকা ও ফ্রান্সের মতো শক্তিধর রাষ্ট্রগুলি স্পষ্টই জানিয়েছে, কাশ্মীর সমস্যা ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। সংবিধান মেনেই বাতিল করা হয়েছে ৩৭০ অনুচ্ছেদ।