নিজস্ব প্রতিবেদন: সকাল ৮টা থেকেই পাকিস্তানে শুরু হয়ে গিয়েছে ভোটগ্রহণ পর্ব। সে দেশের ১১তম নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে একেবারে আঁটোসাঁটো নিরাপত্তায়। পাক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে, ভোটগ্রহণ শুরুর অনেক আগেই বিভিন্ন বুথে উপস্থিত হয়েছেন ভোটাররা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- পরিবারের ১০ জন খুন, এরপরও ওয়াজির স্পর্ধা দেখাচ্ছেন ভোটে লড়ার


এ বারের নির্বাচনে ১০.৬০ কোটি পাক নাগরিক ভোট প্রদান করবেন। যার মধ্যে ৫.৯০ কোটি পুরুষ এবং ৪.৭০ কোটি মহিলা ভোটার রয়েছেন।নির্বাচনী প্রচারে একাধিক হিংসাত্মক ঘটনা ঘটায় বুধবার বিভিন্ন বুথে মোতায়েন করা হয়েছে রেকর্ড সংখ্যার নিরাপত্তারক্ষী। সুষ্ঠ ও অবাধ ভোটগ্রহণ পর্ব সম্পন্ন করতে প্রায় ৮ লক্ষ নিরাপত্তারক্ষী নিযুক্ত করেছে পাক নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যে ৩.৭১ লক্ষ সেনা রয়েছে। জানা গিয়েছে, ভোটপ্রদান পর্ব চলবে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত।


এ দিন সকালে খাইবার পাখতুনখোয়ার চারসাদার বুথে প্রথম ভোটগ্রহণ শুরু হয়। সকাল ৬টা থেকেই ভিড় জমেছে আরও বুথেও। জানা যাচ্ছে, পাকিস্তান মুসলিম লিগ (নওয়াজ)-র প্রধান এবং প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী শাহবাজ শরিফ ভোট প্রদান করেছেন সকাল সকালই। পাক নাগরিকদের কাছে নিজের দলকে জেতানোর আবেদনও জানিয়েছেন শাহবাজ।


আরও পড়ুন- ভোটের আগে প্রহর গুনছে পাকিস্তান


এক নজরে দেখা নেওয়া যাক ভোটের পাটিগণিত:


বুধবার পাক জাতীয় আইনসভার ২৭২ আসনে ভোট। বালুচিস্তানের ১৬, সিন্ধে ৬১, পঞ্জাবে ১৪১, জাতীয় রাজধানী অঞ্চল ইসলামাবাদে ৩, খাইবার পাখতুনখোয়ায় ৩৯ ও স্বশাসিত উপজাতি অঞ্চলের ১২টি আসনে ভোট নেওয়া হচ্ছে। বালুচিস্তান, সিন্ধ, পঞ্জাব ও খাইবার পাখতুনখোয়ার প্রাদেশিক আইনসভার ভোটও একই দিনে।


পাক জাতীয় আইনসভার মোট আসন ৩৪২। ম্যাজিক ফিগার- ১৭২। যদিও, ভোট হচ্ছে ২৭২ আসনে। মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত ৬০ আসন এবং সংখ্যালঘুদের জন্য সংরক্ষিত ১০ আসন, সরাসরি ভোটে প্রাপ্ত আসনের সমানুপাতে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে ভাগ হয়। ফলে, ২৭২ আসনের মধ্যে ১৩৭টি আসন পেলেই জয় নিশ্চিত।