নিজস্ব প্রতিবেদন: জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহার করে নিয়েছে ভারত সরকার। তারপরই ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান। বন্ধ করা হয়েছে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক। আর এতে ইদের আগে যারপরনাই সমস্যায় পড়েছেন পাকিস্তানিরা। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পেঁয়াজ ছাড়া ইদের রসনা অসম্পূর্ণ। ইদের কয়েকদিন আগে পাকিস্তানে পেঁয়াজের ভাঁড়ারে পড়েছে টান। সবজির দরও আকাশছোঁয়া। এমতাবস্থায় ইমরানে এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছে পাকিস্তানের একাংশ। ব্যাঙ্কে কাজ করেন আসফাক। তাঁর কথায়, 'এবারের ইদ জমবে বলে মনে হচ্ছে না। এরপর বিবাহের মরসুম আসবে। এরপর মহরম। দেশের অর্থনীতির এমন হাল হওয়ার পরও ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করা হল। বুঝে উঠতে পারছি না কী ভেবে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে সরকার!'
         
পেঁয়াজ বিক্রেতা ইফতিকার বলেন,'ইদের আর ৩-৪ দিন বাকি। বাজারের হাল খুবই খারাপ। ইদের রান্নায় সবজি ও পেঁয়াজ দরকারি। লাফিয়ে লাফিয়ে দাম বাড়ছে পেঁয়াজ। আরও বাড়লে অবাক হব না। ইমরান খান চাইছেনটা কী? আমরা ঘাস খেয়ে থাকি?' 



পাকিস্তানের অর্থনীতি ধুঁকছে। সে দেশের ঋণের বোঝা বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। তাদের বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডারের অবস্থাও তথৈবচ।  সরকারে আসার পর ব্যয় সংকোচন শুরু করেন ইমরান খান। বলেছিলেন, 'পাকিস্তানের উপরে ২৮ হাজার কোটি টাকার দেনা। এতটা ঋণের বোঝা কোনওকালেই ছিল না। আইএমএফও বলছে, পাকিস্তানের উপরে ঋণের বোঝা বাড়ছে। তাদের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০০৯ থেকে ২০১৮ সালে ৫০ শতাংশ দেনার ভার বেড়েছে। উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে পাকিস্তানকে ৬.৭ ডলার আর্থিক প্যাকেজ দিয়েছিল আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার।' পরিস্থিতি এমন যে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের মোষও বিক্রি করে ২৩লক্ষ টাকা তুলেছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী।


আরও পড়ুন- ভারতের যায়-আসে না, এমন ৮টি পদক্ষেপ করে মুখ বাঁচানোর চেষ্টা কোণঠাসা ইমরানের