নিজস্ব প্রতিবেদন: নাসিরুদ্দিন শাহের মন্তব্যকে হাতিয়ার করে এবার ভারত সরকারকে কোণঠাসা করতে মাঠে নামল পাকিস্তান। পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরানের খানের বক্তব্য, এটা আগেই বলেছিলেন মহম্মদ আলি জিন্নাহ। ভারতে মুসলিমদের সমমর্যাদা দেওয়া হবে না বুঝেই নতুন দেশ পাকিস্তানের দাবি করেছিলেন। যাতে মুসলিমরা সমান অধিকার নিয়ে থাকতে পারেন। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এদেশে তাঁর সন্তানদের জন্য শঙ্কা হয় বলে মন্তব্য করেছেন বলিউড অভিনেতা নাসিরুদ্দিন শাহ। ওই বক্তব্যকে ঢাল করেই লাহোরে একটি অনুষ্ঠানে ইমরান খান বলেন, ''সংখ্যালঘুদের সঙ্গে কেমন ব্যবহার করতে হয়, সেটা মোদী সরকারকে দেখিয়ে দেব আমরা। ভারতেও সংখ্যালঘুরা বলছেন, তাঁরা নিরাপদ নন, সমান অধিকার নেই তাঁদের''। এদিন ইমরান দাবি করেন, পাকিস্তানের জন্মদাতা মহম্মদ আলি জিন্নাহর পথে চলেই পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের অধিকার নিশ্চিত করা হবে। 


প্রসঙ্গত, অতিসম্প্রতিই সংখ্যালঘু অধিকার সংক্রান্ত রিপোর্টে পাকিস্তানকে কালো তালিকায় ফেলেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। চলতি বছরেই ধর্মদ্রোহের অভিযোগ থেকে আসিয়া বিবি মুক্তি পাওয়ার পর আগুন জ্বলেছিল পাকিস্তানে। এছাড়াও পাকিস্তান গঠিত হওয়ার পর থেকে সে দেশে একের পর এক সংখ্যালঘু হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এমনকি শিখ, হিন্দু ধর্মালম্বীদের জোর করে ধর্মান্তরণের অভিযোগও উঠেছে। সে দেশে থাকতে না পেরে ইতিমধ্যেই ভারতে আশ্রয় নিয়েছে বহু হিন্দু পরিবার। 


আরও পড়ুন- কোন চ্যানেলের কত দাম? ঠকবেন না, ডাউনলোড করে নিন TRAI-এর প্রাইস চার্ট


দিন কয়েক আগে নাসিরুদ্দিন শাহের একটি ইউটিউব ভিডিও নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। ওই ভিডিওয় তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, সমাজের মধ্যে ধর্মের বিষ ঢুকে গিয়েছে। তাঁর সন্তানদের ধর্মের তালিম দেননি। ফলে ভিড় ঘিরে ধরলে তাঁরা হিন্দু না মুসলিম বলতে পারবেন না। ভয় নয়, রাগ হচ্ছে তাঁর। নাসিরুদ্দিনের এমন মন্তব্যের পরই সমালোচনায় সরব হয় হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি। তাদের দাবি, লোকসভা ভোটের আগে পরিকল্পিতভাবে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করতে চাইছেন নাসিরুদ্দিন শাহ।



রাজস্থানে একটি সাহিত্য সম্মেলনের উদ্বোধনে থাকার কথা ছিল নাসিরুদ্দিনের। কিন্তু হিন্দুত্ববাদী একটি সংগঠনের বিক্ষোভের জেরে উদ্যোক্তাদের না বলে দেন বলিউডের অভিনেতা। নাসিরুদ্দিন শাহ সমালোচকদের এক হাত নিয়ে বলেন, “আমার আগের মন্তব্যের জন্য আমাকে বিশ্বাসঘাতক বলা হচ্ছে। সত্যিই দুর্ভাগ্যের।” নাসিরুদ্দিন আরও বলেন, নিজের দেশের সমালোচনা করলে কী করে দেশদ্রোহী হতে পারি? এই দেশ আমার জন্মভূমি। এই দেশকে আমি ভালবাসি। যদিও, অজমেরে ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য শোনা যায়নি রাজস্থানের অশোক গেহলতের নেতৃত্বে কংগ্রেস সরকারের।