ওয়েব ডেস্ক: পিছু হঠল পাকিস্তান। বা বলা ভাল, পাক সাংবাদিক সিরিল আলমেইদার নাম 'এক্সিট কন্ট্রোল লিস্ট' থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণার মাধ্যমে পরাজয় স্বীকার করতে হল পাক 'স্বৈরাতান্ত্রিক মনভাব'কে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পাকিস্তানের জনপ্রিয় সংবাদপত্র 'ডন'-এর সাংবাদিক সিরিলের একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় গত ৬ই অক্টোবর। আর তা নিয়েই সরগরম পাকিস্তান। ওই প্রতিবেদনের মূল বিষয় ছিল জঙ্গি দমনের ব্যাপারে পাক প্রশাসন ও পাক সেনার মধ্যেকার মতোবিরোধ ও আকচাআকচি। সিরিল লিখেছিলেন, পাক প্রশাসন জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চাইলেও, পাক সেনা তাতে বাধা দেয়। আর তার ফলেই আন্তর্জাতীক মঞ্চে কোণঠাসা হয়ে যেতে হয় পাকিস্তানকে। এবং সেনার এই অবস্থানেই পাক প্রশাসন অত্যন্ত বিরক্ত।


আরও পড়ুন- প্রয়োজনে আবারও সার্জিক্যাল স্ট্রাইক হবে পাকিস্তানের মাটিতে!


কিন্তু সিরিল আলমেদাইয়ের এই প্রতিবেদন সংবাদপত্রে প্রকাশিত হতেই দেশ জুড়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়। আন্তর্জাতীক মহলেও বেআব্রু হয়ে যায় পাকিস্তান। আর তখনই তরিঘরি নওয়াজ শরিফের দফতর থেকে বারংবার (মোট তিন বার) বিবৃতি জারি করে বলা হয় যে ওই প্রতিবেদনটি ভিত্তিহীন ও ভুল। কিন্তু এখানেই থেমে থাকেনি পাক প্রশাসন। শোনা যাচ্ছে পাক সেনার প্রবল চাপে সিরিলের নাম 'এক্সিট কন্ট্রোল লিস্ট'-এ ঢোকানো হয় যার ফলে ওই সাংবাদিকের দেশের বাইরে যাওয়া আটকে যায়।


আরও পড়ুন- শ্রীনগরে ফের জঙ্গিহানা SSB কনভয়ের উপর, মৃত ১ জওয়ান


আর তখনই গর্জে ওঠে পাক সংবাদমাধ্যম। 'ডন' পত্রিকা জানিয়ে দেয় যে তাঁরা এই প্রতিবেদন যথেষ্ট দায়িত্ব নিয়েই প্রকাশ করেছে এবং তাঁরা তাঁদের প্রতিনিধি সিরিল আলমেইদার পাশেই থাকছে। শুধু নিজের সংস্থা নয়, সিরিল পাশে পান আরেক পাক সংবাদপত্র 'দ্য নেশান'-কেও। 'দ্য নেশান'ও জানিয়ে দেয় এভাবে সংবাদ মাধ্যমের কণ্ঠরোধ করা জঘন্য। এর পাশাপাশি বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনেরও লাগাতার সমালোচনার মুখে শেষ অবধি বাধ্য হয়ে পাক সরকার সিরিল আলমেইদার নাম 'এক্সিট কন্ট্রোল লিস্ট' থেকে বাদ দেয়।