ওয়েব ডেস্ক : চলতি বছর সেপ্টেম্বর মাস থেকেই ভারত ও পারিস্তানের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হওয়া শুরু হয়। নেপথ্যে জম্মু ও কাশ্মীরের উরিতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে জঙ্গি হামলা। আর তার জবাবে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গি ঘাঁটিতে ভারেতর সার্জিক্যাল স্ট্রাইক। সীমান্তে সামরিক উত্তাপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাকিস্তানের ওপর কূটনৈতিক কৌশলী চাপ বাড়াতে ভারতের তরফে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। ভারত জানিয়ে দেয়, ৫৬ বছরের পুরনো সিন্ধু জলবন্টন চুক্তি নিয়ে তারা এবার ভাবনাচিন্তা করবে। প্রথম ধাক্কায় কিছুটা ব্যাকফুটে চলে গেলেও, এবার ইসলামাবাদের তরফে পাল্টা হুঁশিয়ারির সুরে বলা হয়েছে, সিন্ধু জলবন্টন চুক্তিতে কোনও পরিবর্তন তারা মেনে নেবে না। এই পরিস্থিতিতে নতুন করে দুই দেশের মধ্যে দূরত্ব আরও বারাবর সম্ভাবনা দেখা দিল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সম্প্রতি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দফতরের পক্ষ থেকে সেদেশের সংবাদ মাধ্যমকে জানানো হয়েছে, পাকিস্তানের অবস্থান বিবেচনা করেই ৫৬ বছর আগে চুক্তিটি করা হয়েছিল। তাই এই চুক্তিতে বর্তমান পরিস্থিতিকে সামনে রেখে কোনও পরিবর্তন করা হলে, তা হবে পাকিস্তানকে অপমান করা। সেই সঙ্গে চুক্তিরও অবমাননা।


আরও পডুন- হিজাব ছাড়াই রাস্তায়, পুলিসি হেফাজতে যুবতী!


প্রসঙ্গত, ১৯৬০-এর এই চুক্তি অনুসারে সিন্ধু অববাহিকার পূর্ব দিকের তিনটি নদী বিপাশা, রবি ও শতদ্রু নদীর ওপর নিয়ন্ত্রণ থাকবে ভারতের। অন্যদিকে, পশ্চিম অভিমুখে অববাহিত সিন্ধু, চেনাব ও ঝিলম নদীর ওপর নিয়ন্ত্রণ থাকবে পাকিস্তানের।


সাম্প্রতি সেই চুক্তি নিয়েই সমস্যার সূত্রপাত হয়। দুটি জলপ্রকল্প কিষানগঙ্গা ও রটেল চেনাবের ওপর তৈরি করা হয়েছে ভারতের পক্ষ থেকে। আর তার জেরেই দেখা দিয়েছে সমস্যা। ইসলামাবাদের দাবি এর ফলে লঙ্ঘন করা হয়েছে সিন্ধু চুক্তি।