ভারতকে টক্কর দিতে ভাড়ার মহাকাশযানে মহাশূন্যে মানুষ পাঠাবে পাকিস্তান
ফওয়াদ চৌধুরি আরও জানিয়েছেন, ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে মহাকাশচারী বাছাইয়ের কাজ। প্রাথমিকভাবে ৫০ জনকে বাছাই করবে সেদেশের বায়ুসেনা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: মহাকাশে যখন একের পর এক নজির গড়ছে ভারত তখন কি পিছিয়ে থাকতে পারে পড়শি পাকিস্তান? তাই এবার মহাকাশে পাড়ি দিতে চলেছে তারাও। সেদেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ফওয়াদ চৌধুরি জানিয়েছে, ২০২২ সালে মহাকাশে প্রথম মানুষ পাঠাবে দেশটি। সেজন্য আগামী বছর থেকে মহাকাশচারী বাছাইয়ের কাজ শুরু হবে।
গত ২২ জুলাই চন্দ্রযান ২-এর সফল উৎক্ষেপণ করেছে ভারত। আগামী সেপ্টেম্বরে চাঁদের মাটি ছোঁবে ভারত। এছাড়াও গত ১ দশকে ক্রায়োজেনিক ইঞ্জিন তৈরি থেকে এক সঙ্গে ১০০-র বেশি কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করে গোটা বিশ্বকে চমকে দিয়েছে ভারতীয় মহাকাশ সংস্থা ইসরো। এমনকী পশ্চিমি সংস্থাগুলি ইসরোকে বেছে নিচ্ছে তাদের উপগ্রহ উৎক্ষেপণের জন্য। পরিস্থিতি এমনই যে ব্যবসা মার খাচ্ছে ইউরোপীয় ও মার্কিন মহাকাশ সংস্থাগুলির। যা নিয়ে ক্ষোভও প্রকাশ করেছে তারা।
উলটো দিকে মহাকাশ প্রযুক্তিতে ভারতের থেকে কয়েক যোজন পিছনে পাকিস্তান। এখনো ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তিই ঠিক করে তৈরি করতে পারেনি তারা। এই পরিস্থিতিতে ভারতের সঙ্গে টক্কর নিতে কিছু একটা করার জন্য চাপ বাড়ছিল। এরই মধ্যে সেদেশের সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, ২০২২ সালের পাঠানো হবে পাক মহাকাশচারী। ফওয়াদ চৌধুরি আরও জানিয়েছেন, ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে মহাকাশচারী বাছাইয়ের কাজ। প্রাথমিকভাবে ৫০ জনকে বাছাই করবে সেদেশের বায়ুসেনা। তার থেকে ধাপে ধাপে বাছাই করা হবে ১ জনকে।
মহাকাশে কোনও বস্তু পাঠানোর প্রযুক্তি এখনো নেই পাকিস্তানের হাতে। সেদেশে একটি মহাকাশ সংস্থা থাকলেও তার কাজকর্মের তেমন উল্লেখ পাওয়া যায় না কোথাও। ফলে পাকিস্তানকে মহাকাশচারী পাঠাতে হবে অন্য কোনও দেশের মহাকাশযানে করে। সেক্ষেত্রে বন্ধু চিনের সাহায্য পেতে পারে পাকিস্তান। ঠিক যেমন ১৯৮৪ সালে রুশ মহাকাশযান সয়ুজে করে রাকেশ শর্মাকে মহাকাশে পাঠিয়েছিল ভারত।
বলে রাখি, গগনায়ন প্রকল্পে ২০২২ সালে ভারতের মাটি থেকে সম্পূর্ণ দেশিয় প্রযুক্তিতে মহাকাশে মানুষ পাঠাবে ভারত। সেই বছরই ভাড়ার মহাকাশযানে মহাকাশে মানুষ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিল পাকিস্তান।