ওয়েব ডেস্ক: উনি যখন হাঁটছিলেন, লাল গালিচাও যেন রক্তবর্ণ পদধ্বনি অনুভব করছিল। করাচির রাস্তায় যখন এক একটা পা রাখছিলেন তিনি, গোটা বিশ্ব তাকিয়ে ছিল তাঁর দিকেই। এতদিন উনি চিৎকার করেছেন নারীর ওপর হওয়া প্রত্যেকটা নারকীয় ঘটনার প্রতিবাদে। আজ নারীর অহংকার তিনি নিজেই। আজ একটি 'আস্ত জাতির' অহংকারও তিনি। গোটা বিশ্ব গর্বিত তাঁর জন্য। পৃথিবীর কন্যা মুক্তারণ এখনও নারী মুক্তির পথ প্রদর্শক। মুসলিম প্রধান দেশ, পাকিস্তানে ফ্যাশন রানওয়েতে পথ হাঁটলেন মুক্তারণ মাই। এটাই প্রথমবার এবং মুক্তারণই প্রথম যিনি এই নজির তৈরি করলেন। এর আগে বিশ্বের কোথাও কখনও কোনও 'ধর্ষিতার' এই সৌভাগ্য হয়নি।    


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


 


"আমার একটা পদধ্বনি যদি বাকিদের সাহস দেয়, নারীদের উৎসাহ দেয়, আমি তাহলে এমনটা বারে বারে করতে চাইব। আমি এমনটা করে খুশি", পাকিস্তানের করাচির রাস্তায় ফ্যাশন রানওয়েতে হেঁটে নিজের এই অভিব্যাক্তিই জানিয়েছেন নারীদের ওপর নারকীয় অত্যাচারের প্রতিবাদের মুখ মুক্তারণ বিবি।   


 



১৪ বছর আগে মুক্তারণের 'শরীরটা ছিড়ে খেয়েছিল' কিছু নেকড়ের দল। সেদিন সভ্যতার বর্বর ছবি দেখেছিল গোটা বিশ্ব। কেউ পাশে দাড়ায়নি সেদিন। পরিবারও না। দমে যায়নি মুক্তারণ। লড়াই, লড়াই আরও লড়াই। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে শাস্তি হয় অপরাধীদের। এরপর থেকেই মুক্তারণ ধর্ষণ বিরোধী মুখ। নারী স্বাধীনতার মুখ, নারীর অধিকারের মুখ।