কাশ্মীর নিয়ে চিন ছাড়া রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে কাউকেই পাশে পেল না পাকিস্তান
চিন ছাড়া বাকি চার স্থায়ী সদস্য পাশে দাঁড়াল ভারতের।
নিজস্ব প্রতিবেদন: রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের রুদ্ধদ্বার বৈঠকে চিন ছাড়া পাকিস্তানের আবেদনে সাড়া দিল না কেউই। ইসলামাবাদের পরমবন্ধু বেজিং ছাড়া বাকিরা জানিয়ে দিল, কাশ্মীর ভারত-পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়। পাকিস্তানকে খোলাখুলি সমর্থন করেছে চিন। কিন্তু বাকি চার স্থায়ী সদস্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ফ্রান্স ও ব্রিটেন পাশে দাঁড়িয়েছে ভারতের। তারা মনে করে, ভারত-পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক বিষয় কাশ্মীর।
চিনের আবেদনে সাড়া দিয়ে কাশ্মীর নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসেছিল রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদ। সন্ধে সাড়ে ৭টায় শুরু হয়েছিল বৈঠক। প্রায় ৭৩ মিনিট ধরে চলে আলোচনা। ওই বৈঠকে ভারত ও পাকিস্তানের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না। বৈঠকটি আনুষ্ঠানিক ছিল না, ফলে রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের নথিতে ঠাঁই পাবে না। বৈঠকে চিন ছাড়া রাষ্ট্রসঙ্ঘের বাকি চার স্থায়ী সদস্য রাশিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও ফ্রান্স পাশে দাঁড়িয়েছে ভারতের। তারা মনে করে, কাশ্মীর ভারত-পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়।
রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে রাশিয়ার স্থায়ী প্রতিনিধি দিমিত্রি পলিনস্কি বলেন,'ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের স্থিতাবস্থার পক্ষে রাশিয়া। ১৯৭২ সিমলা চুক্তি মেনে দ্বিপাক্ষিক রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে কাশ্মীর সমস্যার সমাধান করা উচিত। আমরা ভারত-পাকিস্তানের বন্ধু। এর পিছনে কোনও উদ্দেশ্য নেই। নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদের সুসম্পর্কের পক্ষে আমরা সওয়াল করব।'
কিন্তু রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে পাকিস্তানের সঙ্গ দিয়েছে বন্ধু চিন। তারা সওয়াল করেছে, এক তরফাভাবে কাশ্মীর থেকে ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহার করেছে ভারত। যদিও বেজিংকে নয়াদিল্লি ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে, কাশ্মীর ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখের পরিবর্তনে আন্তর্জাতিক সীমান্তের সঙ্গে কোনও অদলবদল করা হয়নি। রাষ্ট্রসঙ্ঘের ভারতের প্রতিনিধি সৈয়দ আকবরউদ্দিনও স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন, অনুছ্দে ৩৭০ রদ ভারতের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। সেখানকার মানুষের উন্নয়নের জন্যই প্রত্যাহার করা হয়েছে।
রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকের আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ফোন করেছিলেন ইমরান খান। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে জানিয়ে দিয়েছে বৈঠকে। কাশ্মীর ভারত ও পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক বিষয় বলে মনে করে ব্রিটেন এবং ফ্রান্সও।
প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে আলোচনা চেয়ে ৬ অগাস্ট চিঠি দেন পাক বিদেশমন্ত্রী কুরেসি। পাকিস্তানের পাশে দাঁড়ায় তাদের বন্ধু রাষ্ট্র চিন। বেজিংয়ের আবেদনে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে সম্মত হয় রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদ।