নিজস্ব প্রতিবেদন: কাশ্মীরে নাকি সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচার করছে ভারতীয় সেনা এবং ভারত সরকার। সর্বদাই পাকিস্তানের মুখে এই ধরনের অভিযোগ শোনা যায়। ভারতে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন চলছে বলেও বারবার সরব হয় ইসলামাবাদ। তবে তাঁদের সব ঋতুর বন্ধু চিনের বিষয়ে পাক প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিভঙ্গি একটু আলাদা। সম্প্রতি চিনা সংবাদিককে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে  ইমরান খান জানান, চিনের জিনজিয়াং প্রদেশে বসবাসকারী উইঘুর মুসলিমদের নিয়ে জিনপিং প্রশাসন যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তার সঙ্গে ইসলামাবাদ সহমত পোষণ করছে। আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, পাক প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যে ফের প্রকাশ্যে এসেছে পাকিস্তানের দ্বিচারিতা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বৃহস্পতিবার চিনের ন্যাশনাল ডে (National Day of China) উপলক্ষে একটি চিনা সাংবাদিককে সাক্ষাৎকার দেন পাক প্রদানমন্ত্রী ইমরান খান। সংবাদ সংস্থা দি ডন (The Dawn) সূত্রে খবর সেই সাক্ষাৎকারে চিনের সঙ্গে পাকিস্তানের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নিয়ে মুখ খোলেন পাক প্রধানমন্ত্রী। সেই সাক্ষাৎকারেই ইমরান জানান, চিনের জিনজিয়াং প্রদেশে বসবাসকারী উইঘুর মুসলিমদের নিয়ে পশ্চিমি মিডিয়ার প্রকাশিত রিপোর্টের সঙ্গে চিনা মিডিয়ার প্রকাশিত রিপোর্টের বিস্তর ফারাক রয়েছে। এরপরই তিনি স্পষ্ট বলেন, 'উইঘুর মুসলিমদের নিয়ে চিন সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা আমি সমর্থন করি।' এরপরই স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে কাশ্মীর প্রসঙ্গ টেনে আনেন পাক প্রধানমন্ত্রী। অভিযোগের সুরে জানান, উইঘুর মুসলিমদের উপর অত্যাচারের অভিযোগ করলেও, কাশ্মীর নিয়ে চুপ থাকে পশ্চিমি সংবাদমাধ্যম। 


আরও পড়ুন: কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্টের উপর হামলায় অভিযুক্ত Mark Zuckerberg! ছবি ঘিরে জোর শোরগোল


আরও পড়ুন: বিলিয়নিয়ার বিল গেটসের বিলাসবহুল প্রাইভেট দ্বীপ! বিচ্ছেদের পর সে সম্পত্তি কার?


২০১৬ থেকে চিনের জিনজিয়াং প্রদেশে কার্যত বন্দি অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন উইঘুর মুসলিম ও সংখ্যালঘুরা। অভিযোগ, সেখানে কার্যত গণহত্যা চালাচ্ছে জিনপিং প্রশাসন। ইউঘুরদের উপর বেজিংয়ের বাড়তে থাকা অত্যাচার নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে সরব হয়েছে একাধিক মানবাধিকার সংগঠনও। যদিও প্রতিবারই অভিযোগ উড়িয়েছে চিন। পাশে পেয়েছে তাঁদের সব ঋতুর বন্ধু পাকিস্তানকে।